ভারতের কলকাতা-ভিত্তিক একটি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টাগ বোট কেনার চুক্তি বাতিল করেছে বাংলাদেশ। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের (প্রায় ১৮০ কোটি রুপি) একটি টাগ বোট কেনার কথা ছিল।
চুক্তিটি ছিল ভারতের গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই) নামের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান সঙ্গে। এটি ভারতীয় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জন্য জাহাজ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করে থাকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরই ঢাকা এই সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোকে ‘স্থলবেষ্টিত’ উল্লেখ করে অঞ্চলটির একমাত্র সমুদ্রসংলগ্ন প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক করিডর বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত নিষেধাজ্ঞা দেয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৩ সালে উভয় দেশের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। টাগ বোট কেনার চুক্তিটি ছিল এ ঋণের আওতায় বাংলাদেশের প্রথম উল্লেখযোগ্য প্রকল্প।
বাংলাদেশের তরফে ক্রয়াদেশ বাতিল প্রসঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও ভারতের জিআরএসই কর্তৃপক্ষ দেশটির শেয়ারবাজারে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বাংলাদেশ সরকার টাগ বোটের অর্ডার বাতিল করেছে।”
চুক্তি বাতিলের বিষয়টি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে বলে দাবি করছে ভারতের একাধিক গণমাধ্যম। তবে এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে