ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক সংঘর্ষ যুদ্ধের পথে পৌঁছাতে পারে—এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পারস্পরিক প্রতিবেশী এবং পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন। বুধবার (৭ মে) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভোরে ভয় ও দুঃখ প্রকাশ করে দুই পক্ষকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানায়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান আমাদের সকলের প্রতিবেশী এবং এ দুই দেশের উত্তেজনা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। আমরা আশা করি উভয় পক্ষ সংঘাত জटিল করে তুলবে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়িয়ে চলবে এবং দ্রুত শান্তি প্রক্রিয়ায় ফিরে আসবে।” তিনি আরও যুক্ত করেন, “চীন সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থা—দুই ধরনের বিপদেরও বিরোধী।”
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৬ পর্যটক নিহতের পর ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি সহ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করে। তার উত্তর হিসাবে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের অভিযানে মধ্যরাতের বাজারে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালায়। পাকিস্তানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলায় বহু বেসামরিক প্রাণহানি এবং কিছু ভারতীয় বিমান ধ্বংসের দাবি করেছে।
একই দিনে আইএসপিআর মহাপরিচালক জানান, ‘কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরাবাদ’ সর্বমোট ছয়টি এলাকায় ভারতীয় হামলায় দুই শিশুসহ আটজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হন। এ ছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের তিনজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর আসে।
সীমান্ত পার হলেই উত্তেজনা সরে যাচ্ছে সামরিক সংঘাতে—এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি রুখতে এখন আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা এবং কূটনৈতিক সংলাপ ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিষয় সংশ্লিষ্টরা।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :