অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। এর মাধ্যমে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারমূলক বিনিয়োগ এবং খনিজ খাতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হলো। বিশ্লেষকদের মতে, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি কৌশলগত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে অংশ নেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং ইউক্রেনের ফার্স্ট ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেনকো। ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে—“এটি একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের স্পষ্ট অঙ্গীকার।”
চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের পুনর্গঠন, উন্নয়ন প্রকল্প এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সহায়তার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়।
চুক্তিটি এমন সময়ে স্বাক্ষরিত হলো, যখন রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ তিন বছরের যুদ্ধের ধকল সামলে পুনর্গঠনের পথে হাঁটছে ইউক্রেন। ট্রাম্প প্রশাসন বারবার বলেছিল,“সহায়তার বিনিময়ে কিছু পাওয়া উচিত।”এই চুক্তিকে সেই কূটনৈতিক বিনিময়ের বাস্তব প্রতিফলন বলেই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।
চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে বিনিয়োগ করতে পারবে, যা বিশ্ব প্রযুক্তি শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী স্ভিরিদেনকো বলেন,“এটি শুধু আর্থিক নয়, নিরাপত্তা সহায়তার নতুন পথও উন্মুক্ত করতে পারে।”
যদিও ওয়াশিংটন এখনো ইউক্রেনে আকাশ প্রতিরক্ষা সরবরাহ প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন—এই চুক্তি সামরিক সহযোগিতার একটি নতুন পর্বের সূচনা হতে পারে।
জার্মানির কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, ২০২২ সালে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সামরিক সহায়তাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়। তবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা অস্বচ্ছ ছিল, যা এই চুক্তির মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
একুশে সংবাদ// চ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :