দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বাহিনীর সামরিক মহড়া চলাকালে বেসামরিক এলাকায় ‘দুর্ঘটনাবশত’ বোমা ফেলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে পোচিওন শহরে ফেলা এসব বোমায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
বোমাবর্ষণের এই ঘটনায় বাড়িঘর ও একটি গির্জা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেন বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
রাজধানী সিউল থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত পোচিওন উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের খুবই কাছে। সকাল ১০টা নাগাদ সেখানে দুটি যুদ্ধবিমান ফায়ারিং রেঞ্জের বাইরে বেসামরিক এলাকায় ৮টি বোমা ফেলে। এতে আহত ১৫ জনের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। বোমায় একটি গির্জাসহ ৮টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর দুটি কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান ৫০০ পাউন্ড ওজনের এমকে ৮২ বোমাগুলো ফেলেছে। এর মধ্যে কেবল একটিই বিস্ফোরিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বাকি ৭টি অবিস্ফোরিত বোমা নিস্ক্রিয় করতে বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল কাজ করে বলে সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনাবশত এমকে-৮২ বোমার ৮টি শেল ফেলেছে। এগুলো ফায়ারিং রেঞ্জের বাইরে বেসামরিক এলাকায় পড়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
বোমায় একটি গির্জাসহ ৮টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। একটি ভবনের ভাঙা জানালা ও গির্জার ক্ষতিগ্রস্ত ছাদের ছবি প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের যে মহড়ার সময় বেসামরিক এলাকায় বোমা পড়েছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। আগামী ১০ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত একটি যৌথ মহড়া করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
একুশে সংবাদ// ই.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :