AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নতুন প্রাণঘাতী করোনা বাদুড় থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১:১৯ পিএম, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪
নতুন প্রাণঘাতী করোনা বাদুড় থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কালো থাবা থেকে মানুষ এখনও মুক্তি পায়নি মানুষ। এরই মধ্যে নতুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে। সেখানে বাদুড়ের দেহে নতুন প্রাণঘাতী ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার তীব্র শঙ্কা রয়েছে। এই ভাইরাস শনাক্তের কথা সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস কো ইউকে-এর বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ডা. পিটার দাসজাক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকে আগে কখনো দেখা যায়নি এমন প্রাণঘাতী ভাইরাস আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন। নতুন ভাইরাসটির এখনও নাম দেয়া হয়নি। ভাইরাসটি দেশটির একাধিক গুহায় পাওয়া গেছে যেখানে স্থানীয় কৃষকরা তাদের জমিতে সার হিসেবে ওই সব বাদুড়ের মল ব্যবহার করে থাকে।

ডব্লিউএইচওর অনুষ্ঠানে ডা. দাসজাক বলেন, ‍‍`আমরা র্সাস নামে করোনাভাইরাসের নতুন ও প্রাণঘাতী একটি ধরণ খুজে পেয়েছি। এই ধরনটি বাদুড় থেকে মানুষ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা প্রকট।

তিনি যোগ করেন, আমরা এটিকে একটি সম্ভাব্য জুনোটিক প্যাথোজেন হিসেবে বিবেচনা করছি। সেখানে বাদুড়ের মধ্যে বিশেষ করে এগুলো মলের মধ্যে এই ভাইরাসটি রয়েছে। এই মুহূর্তে বিভিন্ন গুহায় যারা বাদুড়ের মলের সংস্পর্শে যাচ্ছেন তাদের আক্রান্ত হবার শঙ্কা প্রবল। তবে যেহেতু উড়ন্ত এই প্রজাতীর বাদুর খাবারের (ফল) সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে যায়, তাই অন্য মানুষের শরীরেও তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এদিকে, ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী বারবার গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাসের জন্ম এমন দাবির কোনো সত্যতা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। করোনভাইরাসটির প্রাকৃতিক উত্স ছিল এবং সেটি সম্ভবত বাদুড়ই ছিল।

এই ভাইরাসটির খরব এমন সময় এসেছে যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের কমপক্ষে ৫০টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার ৪২ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সে করোনার নতুন ধরন জেএন-১ শনাক্তের পর হু হু করে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি জানুয়ারিতে সারাবিশ্বে  করোনা আক্রান্তের হার ৬০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে নতুন ওই ধরন।  

এদিকে, ১০ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৫০টি দেশে ডিসেম্বরে করোনা আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়ে গেছে। যার বেশিরভাগই ইউরোপ ও আমেরিকায়।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!