দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে শীতের আমেজ। উত্তরের জেলা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে শীতের পরশ। সারাদিনের তীব্র গরম শেষে গভীর রাতে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে নামছে কুয়াশা। হালকা শীতের এই কুয়াশা অনেকের কাছেই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই শীতকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পিঠাপুলির দোকানগুলো।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারদিক। ভোরের দিকে কিছু যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। সকাল-সন্ধ্যায় পিঠার দোকানগুলোতে মানুষের ভিড়ও বেড়েছে। শীতের পিঠা যেন জানিয়ে দিচ্ছে— শীত এসে গেছে।
প্রতিবারের মতো এবারও ভাঙ্গুড়ায় অন্যান্য এলাকার তুলনায় আগেভাগেই শীত নেমেছে। এখন গরম কাপড় বা কাঁথা ছাড়া ঘুমানো যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে শীতের অতিথি পাখিরাও আসতে শুরু করেছে। উপজেলার মোড়ে মোড়ে বসেছে নানারকম মুখরোচক পিঠাপুলির পসরা। এ সময় বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহও বাড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রকৃতি এবারে বেশ মনোমুগ্ধকর আবেশ নিয়েই শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। ভোরবেলায় সাদা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে জনপদ। চোখ মেললেই দেখা যাচ্ছে কুয়াশামাখা ও শিশিরভেজা প্রকৃতি। দীর্ঘদিনের টানা গরম শেষে কুয়াশামাখা এই পরিবেশে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী। অনেকে শীতকে ‘নীরবতা ও প্রশান্তির ঋতু’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমি প্রতিদিন হাঁটতে বের হই। কয়েকদিন আগেও কুয়াশা দেখেছি, কিন্তু আজকের কুয়াশা ছিল বেশ ঘন। মনে হচ্ছে, শীত নেমে এসেছে। অথচ গতকাল সারাদিন ছিল ভ্যাপসা গরম। ভোরে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিল, কুয়াশায় চারদিক সাদা হয়ে গেছে। শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শুধু আবহাওয়া নয়, এক জীবন্ত অনুভূতি।”
একুশে সংবাদ/এ.জে