কর আহরণ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা জোরদারে শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রশাসনে ব্যাপক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর অংশ হিসেবে ১২টি নতুন কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এক সরকারি আদেশে জানায়, সংস্কার উদ্যোগের আওতায় কাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন জনবল নিয়োগও দেওয়া হবে।
বুধবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, এই পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে মোট ৩ হাজার ৫৯৭টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭৩টি ক্যাডার পদ এবং ৩ হাজার ২২৪টি নন-ক্যাডার পদ থাকবে। এসব পদ নতুন ও বিদ্যমান কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস এবং বিশেষায়িত ইউনিটে যুক্ত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে—রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা জোরদার, করদাতাদের সেবার মান উন্নয়ন এবং আরও গতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব পরোক্ষ কর প্রশাসন গড়ে তোলা।
আইআরডি জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আগেই এই সংস্কার প্রস্তাব প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছিল। পরে চূড়ান্ত আদেশ জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, তিন ধাপে ৫টি নতুন ভ্যাট কমিশনারেট, ৪টি নতুন কাস্টমস হাউস এবং ৩টি বিশেষায়িত কার্যালয় গঠন করা হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান কমিশনারেট ও কাস্টমস হাউসের পরিধিও বাড়ানো হবে।
এছাড়া ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নতুন কাস্টমস কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি কাস্টমস ও ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিকেন্দ্রীকরণ ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এনবিআর আশা করছে, এই প্রশাসনিক সংস্কার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হবে, কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি পাবে এবং বাণিজ্য সহজীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগ ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।
একুশে সংবাদ // র.ন