২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভিতে বাজেট পেশ করেন তিনি। এটি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম এবং দেশের ৫৪তম বাজেট।
সংসদ বিলুপ্ত থাকায় এবারের বাজেট রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বেসরকারি গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বাজেট-পরবর্তী জনমত গ্রহণ করে পরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন ও রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে।
বাজেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
মোট আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা
রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা: ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
এর মধ্যে এনবিআর আদায় লক্ষ্যমাত্রা: ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা
ঘাটতি: ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা (জিডিপির ৩.৬২%)
পূরণ পদ্ধতি: বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি
বাজেটে অগ্রাধিকার:
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: আগামী মাসে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য
বিদ্যুৎ: আপাতত বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
গ্যাস: জাতীয় গ্রিডে ৬৪৮ বিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস সংযোজন
মানব উন্নয়ন: শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ বরাদ্দ
সামাজিক নিরাপত্তা: ভাতা ও কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি
কর্মসংস্থান: বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্ব
অবকাঠামো: উন্নয়ন খাতে জোরালো বরাদ্দ
এবারের বাজেটের আকার গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার কমানো হলো, যা বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন বলেই মনে করছেন অর্থ বিশ্লেষকরা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এই বাজেট দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। রাজস্ব আহরণ বাড়াতে প্রশাসনিক সংস্কার, করজাল সম্প্রসারণ এবং সুশাসনের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ / চ.ট/এ.জে