গত বছরের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সংসদের বাইরে থেকে বাজেট পেশ করেছে। এটি দেশের ৫৪তম এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম বাজেট। এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২ জুন) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বছর উন্নয়নসহ মোট সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
তবে বাজেটে কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করায় নিত্যপ্রয়োজনীয় থেকে শুরু করে বিলাসপণ্যেরও দাম বাড়তে পারে। নিচে সেগুলোর তালিকা দেওয়া হলো:
ভ্যাট বৃদ্ধিতে দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্য:
- রড ও স্টিল
- এসি, ফ্রিজ
- মোটরসাইকেল ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ
- সিগারেট
- দেশীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল ফোন
- ব্যাটারিচালিত রিকশার যন্ত্রাংশ
- কসমেটিকস পণ্য
- ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য
- ব্লেড, টেবিলওয়্যার
- দেশে উৎপাদিত সুতা
- হেলিকপ্টার
- বিদেশি চকলেট
- বিদেশি খেলনা
- মার্বেল ও গ্রানাইট
শুল্ক-কর বৃদ্ধিতে দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে যেসব পণ্যে:
- তারকাঁটা
- সব ধরনের স্ক্রু, নাট-বোল্ট
- ইলেকট্রিক লাইন হার্ডওয়্যার
- পোল ফিটিংস
- তামাক বীজ
- দরজার তালা
সব মিলিয়ে এবারের বাজেটে শিল্প উৎপাদনের কিছু খাতে চাপ বাড়বে, আর এর প্রভাব সরাসরি ভোক্তাদের ওপর পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও কর কাঠামোর পরিবর্তনের কারণে অনেক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য হতে পারে।
একুশে সংবাদ / এন.ট/এ.জে