২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট আজ সংসদে উপস্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার এই বাজেটে অন্যান্য বছরের মতো কিছু পণ্যে শুল্ক ও কর বাড়ানোর প্রস্তাব থাকছে। বিশেষ করে তামাকজাত পণ্যের ওপর চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারে। ফলে চলতি বছর সিগারেটের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে এবার সেই স্তরভিত্তিক কাঠামোয় পরিবর্তন না আনলেও সিগারেট উৎপাদনে ব্যবহৃত পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকছে। এর ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে বাজারে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান বা ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন। প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে প্রাণ হারান অন্তত ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাকজনিত কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যার বড় অংশ চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে।
সরকার ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ২০৪০’ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্ক চাপ আরও বাড়াতে চায়। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল কাঁচামালের ওপর শুল্ক বাড়ালে বাজারে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে। এজন্য নীতিগতভাবে আরও সুসংহত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
একুশে সংবাদ / চ.ট/এ.জে
    
                        

                                            
                                                        
                            
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
												
												
												
												
												
												
												
												
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
