আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার (২৭ মে) বাজারে আসছে নতুন ডিজাইনের কাগজে নোট। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ঈদের আগে ধাপে ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট ছাড়া হবে। এসব নোটে কোনো ব্যক্তির ছবি না রেখে থাকছে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন।
২০ টাকার নোটে থাকবে দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির ও পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ছবি। ৫০ টাকার নোটে স্থান পেয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের দুর্ভিক্ষের চিত্র ও আতিয়া মসজিদ। ১০০০ টাকার নোটে থাকছে বঙ্গভবন ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, “নতুন নোটের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে। এবার মানুষের অবয়ব বাদ দিয়ে আমাদের ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন তুলে ধরা হচ্ছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর শনিবার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য—নোটে বিভাজনের পরিবর্তে ঐক্য তুলে ধরা। তাই ধর্মীয় বৈচিত্র্য ও জাতীয় ঐতিহ্য একসাথে তুলে ধরা হচ্ছে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা প্যাগোডা—সবই আমাদের সংস্কৃতির অংশ।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, নতুন নোটগুলোর ছাপা এখনো চলমান। ৫ ও ১০ টাকার নোট ঈদের পর বাজারে আসবে। এর মধ্যে ৫ টাকায় থাকবে মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ ও মুগ্ধর ছবি এবং ১০ টাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ও তারুণ্যের প্রতীকী চিত্র।
এছাড়া ১০০ টাকার নোটে ইউনেস্কো স্বীকৃত সুন্দরবনের বাঘ ও চিত্রা হরিণ এবং ২০০ টাকায় ধর্মীয় বৈচিত্র্যের প্রতীক হিসেবে থাকবে দেশের প্রধান চারটি উপাসনালয়—মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডার প্রতিকৃতি। ৫০০ টাকায় থাকছে ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিল।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রথম মানচিত্রখচিত ১ টাকার নোট চালু হয়। এরপর ধাপে ধাপে বাজারে আসে বিভিন্ন মানের নোট। সর্বশেষ ২০২০ সালে ২০০ টাকার নোট চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নোট ঈদের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিতরণ করা হবে। তবে শুরুতে সীমিত পরিসরে নোট ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে