রাজধানীতে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম এক কেজি ৩০ টাকা বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। একইসঙ্গে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় হতাশা তারা।
শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ, কারওয়ার বাজার ও হাতিরপুল বাজারে ঘুরে দামের এই তারতম্য দেখা গেছে।
জানা গেছে, দেশি পেঁয়াজের প্রধান উৎস ফরিদপুর ও পাবনা থেকে পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে।
রাজধানীর শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, সরবরাহ সংকটের কারণে গত সপ্তাহে সব ধরনের দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি। আমদানি শুল্ক, পরিবহণ ও অন্যান্য খরচ হিসাব করলে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও এখন বেশি। আমদানি করা পেঁয়াজের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি।’
মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা মাহমুদা আলম বলেন, ‘রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি আমাদের বিস্মিত করেছে। এভাবে মাংস, সবজিসহ সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ কী করবে।’
রাজারবাগ এলাকার গৃহকর্মী জহুরা বেগম বলেন, ‘কাঁচাবাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এখন আমরা পেঁয়াজকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মনে করি না। বেশিরভাগ সময় এটি ছাড়াই রান্না করার চেষ্টা করি।’
প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর গত ৪ মে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ১৪ মে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। গত ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো হয়। নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি পাওয়া ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও ছিল।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

