জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শাসকেরা দেশ ছেড়ে পালালেও তাদের রেখে যাওয়া প্রভাব ও অনিয়মের ছায়া এখনো দূর হয়নি। তাঁর ভাষায়, “একটি গোষ্ঠী যেসব অন্যায় করেছে পালিয়ে যাওয়ার সময় সেগুলো পাপের বোঝা রেখে গেছে, আর আরেক দল সেই বোঝা নিয়েই একই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।”
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইসলামী ও সমমনা আটটি দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় পেরোলেও জনগণ সম্মানজনক জীবন পাচ্ছে না। অতীতের শোষকদের বিদায় হলেও দেশের অভ্যন্তরে ক্ষমতার সুযোগ পাওয়া অনেকেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে বিদেশে সরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, “কারও কারও বিদেশে বাড়িঘর গড়া, কারও গোপনে লুকিয়ে পড়া—এসবই দুর্নীতির চিত্র।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এক সময় রাজনৈতিক ভিন্নমত, আলেম–ওলামা ও বিরোধী নেতাদের হয়রানি, কারাবন্দী করা ও নির্বাসনে পাঠানোর যে প্রবণতা শুরু হয়েছিল, সেটি আজও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাঁর দাবি, আগামীর জাতীয় নির্বাচন শুধু প্রতীকের প্রতিযোগিতা নয়; এটি ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়নের নির্বাচন’। গণভোটে যারা ‘না’র প্রচারণা চালাবে, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক সমাবেশে বলেন, “যারা একসময় নির্বাচন নিয়ে মরিয়া ছিল, তারাই এখন ভোট পেছানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।” তাঁর দাবি, জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের পর দেশবাসী নতুন ধারার রাজনীতির প্রত্যাশা করেছিল, কিন্তু অনেক রাজনৈতিক দল সংস্কার বা সনদের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, “প্রশাসনিক কৌশলে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন যারা দেখছেন, তাদের জন্য বার্তাই হচ্ছে—এ ধরনের পথ আর খুলবে না।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

