ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বানিজ্যিকভাবে খোরশোল্লা ও ভেটকি মাছের চাষ শুরু করেছেন স্থানীয় চাষি আবু কালাম। তিনি জানিয়েছেন, আশানুরূপ উৎপাদন পেলে ভবিষ্যতে চাষ আরও সম্প্রসারণ করবেন।
জানা গেছে, কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা গ্রামের বাসিন্দা আবু কালাম (৫৫)। তিনি কুশনা বাজারে সার ও কীটনাশক ব্যবসা করেন। লোহাগড়ায় ঘুরতে গিয়ে খোরশোল্লা ও ভেটকি মাছ দেখেন এবং পুকুরে চাষের জন্য ওখান থেকে মাছ সংগ্রহ করেন। বর্তমানে তিনি বাড়ির পিছনের ৩৩ শতক জমিতে এ মাছ চাষ করছেন। এ ছাড়াও তিনি অন্যান্য মাছ প্রজাতির চাষও করছেন।
আবু কালাম বলেন, “আমি ব্যবসায়িক কাজে লোহাগড়ায় গিয়েছিলাম। সেখানে মাছগুলো দেখলাম। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, এটি মূলত সামুদ্রিক মাছ। এরপর পুকুরে চাষের সিদ্ধান্ত নিলাম। সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে ১ কেজি ১০০ গ্রাম খোরশোল্লা কিনে ২৮শ পিচ মাছ করেছি। ভেটকি মাছের জন্য ১শ পিচ কিনেছি। এখন এগুলো ১০ মাসে ৬০ গ্রাম ওজনের। দুই বছরে ৩ শত গ্রাম হবে, যা বাজারে ৮০০–১০০০ টাকা প্রতি কেজি মূল্যে বিক্রি সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “মাছগুলো পুকুরের উপরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকে। দেখতে সুন্দর এবং খেতেও সুস্বাদু। প্রথমে ৩৩ শতাংশ পুকুরে চাষ শুরু করেছি, ভবিষ্যতে সফল হলে পরিসর বাড়াব।”
পুকুরে এই মাছ চাষের খবরে স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত ভীড় জমাচ্ছেন। অনেকেই এ চাষ করার বিষয়ে ভাবছেন।
কোটচাঁদপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীন ইসলাম বলেন, “খোরশোল্লা ও ভেটকি সামুদ্রিক লোনা পানির মাছ হলেও ফ্রেশ পানিতে চাষ সম্ভব। পোনাগুলো লোনা পানি থেকে নাসিং করে বড় করতে হবে। চাষের ক্ষেত্রে চাষিদের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা সাহায্য করবো।”
একুশে সংবাদ/এ.জে