বাগেরহাটের চিতলমারীতে যুবলীগ নেতাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস্কেন্দার শিকদার (এস্কেন) ও তার ভাই ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিকলীগের গণযোগাযোগ ও সড়ক বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম শিকদারসহ তাদের সহযোগীরা মানুষ জিম্মিকরে প্রতিশোধ নেয়াসহ মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি ও দখলদারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মীর আক্কাস আলী (৬৮)।
বৃহস্পতিবার ( ৯ অক্টোবর ) সকাল ১১ টায় চিতলমারী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার ছেলে ঢাকায় চাকুরিরত রকিবুল হাসান রাজু মীর (৩২) ছুটিতে বাড়িতে আসলে পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা এস্কেন শিকদার ও তার সহযোগীরা তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। পরে গত ৭ অক্টোবর ঢাকায় ফেরার পথে ধোলাই পাড় বাস ষ্ট্যান্ডে বাস থামাবার সময়, আমার গ্রামের সাদ্দাম শিকদার (ঢাকায় অবস্থান রত), তার ভাই ছাত্রলীগ নেতা সাদিকুল শিকদার এবং সজীব শিকদার চাপাতি দেখিয়ে রকিবুল হাসানের কাছ থেকে প্রায় ৪৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তাকে গুম ও হত্যার চেষ্টা চালায়।
যাত্রীদের প্রতিবাদ ও আমার নিজ এলাকার সেনাসদস্য তাহিদুল ইসলামের হস্তক্ষেপে প্রাণে রক্ষা পান ছেলে রাকিবুল হাসান। সংবাদ সম্মেলন মীর আক্কাছ আলী আরো জানান, এস্কেন, সাদ্দাম, সাদিকুল, সজীব, শিপন, হৃদয়, হামিম ও বক্কার নামের একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জুয়া ও ভূমি দখলের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি ও স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
এব্যপারে সেনা সদস্যসেনাসদস্য তাহিদুল ইসলামের মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, যখন ধোলাই পাড় বাস থামায় তখন সাদ্দামসহ তিনজন রাকিবুলকে জোর করে নামিয়ে নিতে গেলে এলাকার ছেলে হিসেবে সাদ্দামকে দেখে বলি তুমি কেমন আছ? এসময় আমার কথার উত্তর না দিয়ে ওরা রাকিবুলকে ছেড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এছাড়া বাসে থাকাকালিনও সাদ্দাম ও তার লোকজন রাকিবুলকে কয়েকবার ফোন দিয়ে ছিল; বলে ছিল কতদুর আছো। এব্যপারে সাদ্দামের মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন এ ঘটনা তিনি জানেন না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি বলে জানা গেছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে