পটুয়াখালীর বাউফলে গ্রীষ্মকালীন ফুটবল প্রতিযোগিতার খেলাকে কেন্দ্র করে মো. আবদুল্লাহ আরাফাত (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে অপর এক শিক্ষার্থী। এসময় হামলাকারীকে থামাতে গেলে এক পুলিশ সদস্যও আহত হন।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বাউফল পাবলিক মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আরাফাত নাজিরপুর ইউনিয়নের ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং একই এলাকার ইসমাইল গাজীর ছেলে। হামলাকারী শিক্ষার্থী অর্ণব বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভাড়াটিয়া তোফাজ্জল হোসেন তপুর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১১টার দিকে মাঠে খেলা শুরু হয়। নাজিরপুর ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে খেলা গোলশূন্য হলে ট্রাইবেকারে যায়। এতে নাজিরপুর দল জয়ী হয়। এরপরই বাউফল সরকারি মডেল স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্ণব ছুরি নিয়ে আরাফাতকে আঘাত করে। পুলিশ এগিয়ে গেলে অর্ণব তাদের উপরও হামলা চালায়।
নাজিরপুর একাদশের অধিনায়ক তাহমিদ ইসলাম বলেন, “ও ছেলেটিকে আমরা চিনিনা, সে কোনো খেলোয়াড়ও নয়। আরাফাত ভালো খেলেছে বলেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।”
আহত আরাফাতের মা কুলসুম বেগম অভিযোগ করে বলেন, “প্রশাসনের সামনে আমার ছেলেকে দিনদুপুরে ছুরিকাঘাত করা হলো। আবারও হামলা হতে পারে। আমি এর বিচার চাই।”
নাজিরপুর ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইনুল ইসলাম বলেন, “আমাদের বিদ্যালয় জয়লাভ করেছিল, ছেলেরা উল্লাস করছিল। তখনই হঠাৎ এক ছেলে এসে ছুরি দিয়ে আরাফাতকে আঘাত করে। পুলিশ বাধা দিলে তাদেরও আঘাত করে।”
এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “আমি ও আরও একজন পুলিশ সদস্য মাঠে দায়িত্বে ছিলাম। ওই ছেলে ছুরি নিয়ে হামলা করলে থামাতে গিয়ে আমিও আঘাত পাই।”
বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, “ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে