নওগাঁর পোরশা, সাপাহার ও রাণীনগর উপজেলায় পৃথক স্থান থেকে একদিনে স্কুলছাত্রীসহ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পোরশার আম বাগান থেকে ৯ বছর বয়সী সুমাইয়া, রাণীনগরের পারইল গ্রাম থেকে ২৯ বছর বয়সী মেহেদী ও সাপাহারের পিছলডাঙ্গা গ্রামের খালের পানি থেকে ৭৩ বছর বয়সী নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন—পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের চক্করতলী গ্রামের আশরাফুলের মেয়ে সুমাইয়া, রাণীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে মেহেদী এবং সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিছলডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজির উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম।
জানা যায়, সুমাইয়া বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে আরবি পড়া শেষ করে খেলতে যায়, এরপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। পরে কুশাহার আম বাগানের মধ্যে তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। প্রাথমিক ধারণা, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
রাণীনগরের মেহেদী ও তার স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে নিহতের আত্মহত্যার সম্ভাবনা পাওয়া গেছে। মেহেদীর লাশ বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ের আম গাছে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সাপাহারের নুরুল ইসলাম বুধবার ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন, কিন্তু বাড়ি ফেরেননি। বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রামের দক্ষিন দিকের খালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমান, সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিজ এবং রাণীনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা বাবলু। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাদের হত্যা করে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পোরশা থানার ইনচার্জ মিন্টু রহমান জানান, আম বাগানের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ পাওয়া গেছে। রাজশাহী থেকে সিআইডি ও পিবিআই আসছে এবং তারা তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে