ভালুকার রাজনৈতিক অঙ্গনে আলহাজ্ব হাতেম খান এমন এক নাম, যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়রের পদে না থেকেও মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর সহজ-সরল জীবনযাপন, নিঃস্বার্থ সমাজসেবা এবং মানবিক কর্মকাণ্ড তাঁকে “জনতার মেয়র” হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে, রাজনীতি তাঁর কাছে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা নয়, বরং মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর এক মহৎ দায়িত্ব।
উৎসবের সাম্যের রাজনীতি: ঈদ কিংবা দুর্গাপূজা যে উৎসবই হোক, হাতেম খানের উপস্থিতি ছাড়া ভালুকা পৌর এলাকার আনন্দ যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্রতি বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হাতে নিজ হাতে উপহার পৌঁছে দেন তিনি। একইভাবে ঈদেও অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ঘরে পৌঁছে দেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
একজন উপহার পাওয়া সাধারণ মানুষ বলেন, “এমন নেতাই আমাদের সত্যিকারের ভালোবাসার জায়গা। তিনি সব ধর্মের মানুষকে সমান ভালোবাসেন।”
মানবিকতার আলোকবর্তিকা: উৎসব কেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডের বাইরে হাতেম খান আরও অনেক সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসেন। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা, অসুস্থদের চিকিৎসা ব্যয়ে সাহায্য, খেলাধুলার আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং গৃহহীনদের জন্য সহায়তা এসব কার্যক্রম তাঁকে সাধারণ মানুষের চোখে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নয়, বরং একজন মানবিক অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ভালুকার স্থানীয় শিক্ষক রফিক খান বলেন, “হাতেম খানের কাছে রাজনীতি মানে শুধু দলীয় কার্যক্রম নয়, মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নেওয়া।”
রাজনৈতিক জীবন ও সামাজিক স্বীকৃতি: আলহাজ্ব হাতেম খান শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন; তিনি একজন মানবিক মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ৬ নং ভালুকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, ভালুকা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক এবং উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ও ভালুকা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতির বাইরে আলহাজ্ব হাতেম খান একজন স্বনামধন্য সমাজসেবক ও দানশীল ব্যক্তিত্ব। অসহায়, দুস্থ ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এজন্য তিনি শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনে নয়, সামাজিক পরিমণ্ডলেও “অসহায় মানুষের প্রকৃত বন্ধু” হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন: মানবিক রাজনীতির পাশাপাশি পারিবারিক জীবনেও আলহাজ্ব হাতেম খান অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। চার সন্তানের জনক তিনি। তাঁদের মধ্যে এক মেয়ে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন এবং দুই মেয়ে বর্তমানে মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস (MBBS) কোর্সে অধ্যয়নরত। শুধু উচ্চশিক্ষায় নয়, সন্তানদের তিনি শিখিয়েছেন মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়িত্বশীলতার শিক্ষা। পরিবার থেকেই পাওয়া এই চর্চা ও অনুপ্রেরণাই তাঁকে সমাজকল্যাণ ও মানুষের সেবায় আরও দৃঢ় করেছে।
জনসংযোগ ও মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয়তা: ভালুকায় হাতেম খানের শক্তি হলো তাঁর সরাসরি জনসংযোগ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি তিনি সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেন, সমস্যা সমাধান করেন এবং মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী করিম হোসেন বলেন, “হাতেম ভাইকে ফোন করলে তিনি নিজে না আসলেও কাউকে পাঠান। মানুষ জানে তাঁর কাছে গেলে নিরাশ হতে হবে না।”
রিকশাচালক সুমন মিয়া বলেন, “তিনি আমাদের মতো গরিবের সঙ্গে বসে কথা বলেন। এটা আমরা অন্য নেতাদের মধ্যে দেখি না।”
ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা: ভালুকার মানুষ মনে করে, যদি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব পান, তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, খেলাধুলার প্রসার এবং মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যমে পৌর এলাকায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
তরুণ শিক্ষার্থী রিফাত ইসলাম বলেন, “আমরা চাই হাতেম কাকা নেতৃত্বে আসুক। তাহলে তরুণদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে।”
হাতেম খানের ভিশন: জনতার মেয়র আলহাজ্ব হাতেম খান বলেন, “মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার রাজনীতি। আমি বিশ্বাস করি রাজনীতি ক্ষমতার সিঁড়ি নয়, বরং মানুষের সেবা করার মহৎ দায়িত্ব। ভালুকার প্রতিটি মানুষ আমার পরিবার, তাদের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানোই আমার অঙ্গীকার।”
তিনি বলেন, “আমি চাই ভালুকা পৌরসভাকে এমন একটি পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক নিরাপত্তা সবার জন্য নিশ্চিত থাকবে। তরুণদের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটিয়ে একটি মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা আমার স্বপ্ন।”
হাতেম খান আরও বলেন, “ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সমান অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচবে এটাই আমার কামনা। আমি চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন একটি আধুনিক, সবুজ ও মানবিক ভালুকা পৌরসভা গড়ে তুলতে, যা সারা দেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
তিনি শেষে উল্লেখ করেন, “রাজনীতি আমার কাছে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করার প্রতিযোগিতা নয়, বরং সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের সংগ্রাম। আমি চাই আমার কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে। আজীবন মানুষের সেবক হয়ে থাকতে পারলেই আমি নিজেকে ধন্য মনে করব।”
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা খাতে অবদান: আলহাজ্ব হাতেম খান ব্যক্তিগত জীবনে দানশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বহু মসজিদ ও মাদ্রাসায় দান করেছেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো তাঁর প্রতিষ্ঠিত জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ্ ক্বওমি মাদ্রাসা, যেখানে বর্তমানে ৬০০-রও বেশি ছাত্র পড়াশোনা করছে। তাঁর এই উদ্যোগ ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তেমনি এলাকার শত শত শিক্ষার্থী এর মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভালুকা বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তাঁর এই অবদান স্থানীয় সমাজে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
ভালুকার আস্থা ও ভালোবাসা: হাতেম খানের প্রতি মানুষের আস্থা কেবল রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং মানবিক কারণেও ক্রমেই গভীর হচ্ছে। ভালুকার সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে তাঁর হাতে রাজনীতি মানে নিরাপত্তা, সহমর্মিতা ও সমান অধিকার।
হাতেম খান কেন আলাদা: ভালুকার রাজনীতিতে হাতেম খান কেবল একজন জনপ্রতিনিধির প্রত্যাশী নন; তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সামাজিক দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার সমন্বয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বিমত থাকলেও সমাজের মঞ্চে তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার পাশে দাঁড়ান। আর এই সমন্বয়ই তাঁকে করেছে “জনতার মেয়র”।
একুশে সংবাদ/এ.জে