সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও চোরাইকারবারিদের সংঘর্ষে ওমর আলী (৩০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দুই দিন পর টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে রূপনগর কান্দাপাড়া সংলগ্ন হাওর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওমর আলী দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের শামছুল হকের ছেলে এবং পেশায় নৌকা শ্রমিক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত রবিবার রাতে গরু পরিবহনের কাজে গিয়েছিলেন ওমর আলী। রাত ১০টার দিকে বিজিবি গরু বহনকারী দুটি স্টিলবডি নৌকা আটক করে। গরুগুলো ভারতীয় দাবি করলে চোরাইকারবারিরা তা ছাড়িয়ে নিতে বিজিবির ওপর বল্লম ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি গুলি চালায় বলে দাবি করে সংস্থাটি। এসময় একটি নৌকা পালিয়ে গেলেও অপর নৌকা থেকে ৩২টি গরু জব্দ করে বিজিবি।
ঘটনার দুই দিন পর মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা হাওরে ভাসমান লাশ দেখতে পান এবং তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে বিজিবিকে দায়ী করেন। স্থানীয়দের দাবি, ওমর আলী বিজিবির গুলিতে নিহত হয়েছেন।
মধ্যনগর থানার ওসি মনিবুর রহমান বলেন, “লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক একে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, “চোরাইকারবারিদের সঙ্গে সংঘর্ষে আমাদের সদস্য আখেরুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাওরে পাওয়া লাশের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে