ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দেড় ঘণ্টা স্থায়ী সংঘর্ষে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত ব্যক্তির নাম জাকু মাতুব্বর (৬০)। তিনি সোনাখোলা গ্রামের বাসিন্দা, আনোয়ার মাতুব্বরের ছেলে। আহতদের মধ্যে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ১১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন এবং বাকিরা আশপাশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, একটি ভ্যান চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক বসে। দীর্ঘদিন ধরে সোনাখোলা গ্রামের মাতুব্বর ও খান গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহজাহান খানের বাড়ির পাশে সালিশ চলাকালীন দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ব্যবহার করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ।
নিহত জাকু মাতুব্বরের ভাতিজা বিপ্লব মাতুব্বর অভিযোগ করেন, খান গোষ্ঠীর সালাউদ্দিন খান কয়েক দিন আগে নলিয়া গ্রাম থেকে একটি ভ্যান চুরি করে। এ নিয়ে সালিশ চলাকালে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। সংঘর্ষে ইটের আঘাতে তার চাচা নিহত হন।
সংঘর্ষে নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে খান গোষ্ঠীর আহতরা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যায়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জোবায়ের জানান, জাকু মাতুব্বরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে আহতদের মধ্যে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। মৃত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে