AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফরিদপুরে রূপালি পাটকাঠিতে কৃষকদের শতকোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর
০৩:৫৩ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফরিদপুরে রূপালি পাটকাঠিতে কৃষকদের শতকোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষকরা এবার আশার আলো দেখছেন পাটকাঠিতে। গত কয়েক বছর ধরে সোনালি আঁশের যথাযথ দাম না পাওয়ায় হতাশ ছিলেন তারা। তবে এবার আঁশের দাম কম হলেও পাটকাঠির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

বাংলাদেশে সোনালি আঁশের জন্য খ্যাত ফরিদপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি পাট আবাদ হয় সালথার ৮টি ইউনিয়নে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, আগে পাটকাঠির ব্যবহার ছিল সীমিত— রান্নার জ্বালানি, ঘরের বেড়া বা পানের বরজ তৈরিতে। কিন্তু বর্তমানে এর বহুমুখী ব্যবহার তৈরি করেছে নতুন সম্ভাবনা।

পাটকাঠি এখন শুধু গ্রামীণ জ্বালানি নয়; কার্বন পেপার, প্রিন্টার ও ফটোকপির কালি, আতশবাজি, ফেসওয়াশ, মোবাইল ব্যাটারি, প্রসাধনী, এয়ারকুলার, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, দাঁতের ওষুধ থেকে শুরু করে কৃষি সার তৈরির কাঁচামাল হিসেবেও এর ব্যবহার বাড়ছে। বিশ্ববাজারে এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।

সালথার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির সামনে, রাস্তার ধারে, মাঠে— সর্বত্র পাটকাঠি শুকানো ও সংরক্ষণের কাজ চলছে। বর্তমানে ১০০ আঁটি পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়। এক হেক্টর জমির পাট থেকে গড়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যাচ্ছে।

পাটচাষি ফারুক মোল্যা বলেন, “পাট বিক্রি করে খুব বেশি লাভ হয়নি। তবে পাটকাঠির দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি। কাঠির আয় দিয়ে লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী সামাদ মাতুব্বর জানান, “পাটকাঠি এখন আমাদের আশার আলো। বড় কোম্পানির এজেন্টরা এসে গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কাঠি কিনে নিচ্ছেন।”

সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী মোস্তফা শেখ বলেন, “আগে সালথা থেকে কম দামে পাটকাঠি কিনতাম। কিন্তু এখন ফরিদপুরেই বহু কার্বন ফ্যাক্টরি গড়ে ওঠায় চাহিদা মেটানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। দামও অনেক বেড়েছে।”

সালথা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। এ থেকে উৎপাদিত পাটকাঠির বাজারমূল্য অন্তত শত কোটি টাকার বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, এ মূল্যবৃদ্ধি স্থানীয় কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে শক্তিশালী করবে।

 

একুশে সংবাদ/ফ.প্র/এ.জে

Link copied!