গ্রামীণ বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ হলো ডোঙ্গাবাইচ। বৈঠার টানে বৈঠা মিলিয়ে এগিয়ে চলা, তীরে দাঁড়িয়ে উল্লাসধ্বনি আর তরুণদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে এই আয়োজন হয়ে ওঠে এক অনন্য উৎসব।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুকসুদপুরের খড়িকাইন এলাকায় স্থানীয় যুবসমাজের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এই ডোঙ্গাবাইচ প্রতিযোগিতা। গ্রাম ও আশপাশের গ্রাম থেকে ছুটে আসা মানুষে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ—সবাই উপস্থিত ছিলেন এই আনন্দঘন আয়োজনে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় কয়েকটি দল। বৈঠিয়ালেরা যখন একই ছন্দে বৈঠা চালাতে শুরু করেন, তখন দর্শকদের উল্লাসে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ। প্রতিযোগীরা শুধু জয়লাভের জন্যই নয়, গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রতিশ্রুতিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালান।
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, গ্রামীণ সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা এবং তরুণদের আনন্দঘন মিলনমেলায় যুক্ত করার উদ্দেশ্যে প্রতিবছরই তারা এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকেন।
একজন প্রবীণ দর্শক বলেন, “আগেকার দিনে প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ডোঙ্গাবাইচ হতো। এখন সে দৃশ্য হারিয়ে গেছে। খড়িকাইনের যুবকদের এই উদ্যোগ আমাদের শৈশবের স্মৃতি ফিরিয়ে দিলো।”
ডোঙ্গাবাইচ শেষে বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। শুধু প্রতিযোগিতা নয়, দিনটি হয়ে উঠেছিল গ্রামীণ ঐতিহ্যকে নতুন করে ছুঁয়ে দেখার উৎসব।
ডোঙ্গাবাইচ—গ্রামের প্রাণ, ঐতিহ্যের উচ্ছ্বাস আর মিলেমিশে থাকার আনন্দের এক অনবদ্য নিদর্শন।
একুশে সংবাদ/গো.প্র/এ.জে