শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এক ব্যক্তির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
৫ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইগাতী থানা মোড়ে শহীদ ছাত্রনেতা সৌরভের নামে নির্মিত ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় শহীদ সৌরভের পিতা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তবে অনুষ্ঠানের শেষে ফটোসেশনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সারোয়ার হোসেন উপস্থিত রয়েছেন। বিষয়টি ঘিরে নানা প্রশ্ন ও সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হলে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা ও পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমি সারোয়ার হোসেন নামে কাউকে চিনি না, আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা। শহীদ সৌরভের পিতা তাঁকে আত্মীয় হিসেবে সঙ্গে এনেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য বা মামলার আসামি—এমন তথ্য আমার জানা ছিল না। ভিত্তিহীন এই অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “এটি ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, স্মৃতিচারণমূলক ও একজন শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নিঃস্বার্থ প্রয়াস। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে সেটিকে প্রশাসনের উদ্দেশ্য বলে ব্যাখ্যা করা অনুচিত।”
সামাজিক দায়িত্বের বিষয়ে সতর্কতা চেয়ে ইউএনও আরও বলেন, “সত্যতা যাচাই না করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও গুজব ছড়ানো সামাজিক দায়িত্ববোধের পরিপন্থী। একজন শহীদের নামের সঙ্গে জড়িত অনুষ্ঠানে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করাও অত্যন্ত দুঃখজনক।”
একুশে সংবাদ/শে.প্র/এ.জে