মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির নতুন সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না এবং ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছেন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমোদনে বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. মো. কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত ৩ জুন ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপনে জিনাত সুলতানাকে চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মন্ডল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর না করে সময় ক্ষেপণ করছেন।
সভাপতি জিনাত সুলতানা জানান, “বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী এখনও কোনো সভা আহ্বান করা হয়নি। প্রধান শিক্ষকের পছন্দের ব্যক্তি সভাপতি না হওয়ায় তিনি দায়িত্ব হস্তান্তরে টালবাহানা করছেন। বরং নিজে ছয় মাস মেয়াদ শেষে দায়িত্বে থেকে পুরনো পদ্ধতিতে কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চাইছেন। এমনকি আমাকে দায়িত্ব না দিতে নানা স্থানে লবিংও করছেন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বিগত সরকারের সময়ে তিনি নিজের অনুগত ব্যক্তিদের কমিটিতে বসিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ লেনদেন করেছেন। বর্তমানে আমি দায়িত্ব নিলে সে সুযোগ আর থাকবে না বলেই হয়তো বাধা সৃষ্টি করছেন।”
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মন্ডল বলেন, “গত ২ জুলাই আমি সভা আহ্বান করেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। তারা বিষয়টি নিজেরা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি শিগগিরই সমাধান হবে।”
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণি বলেন, “যেহেতু বোর্ড কর্তৃক সভাপতি মনোনীত হয়েছেন, প্রধান শিক্ষকের উচিত সভা আহ্বান করে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। বিষয়টি আমার নজরে আসার পর তাকে তা জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করছেন, যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী।”
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং অনেকে দ্রুত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে