নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাজার এলাকায় সড়কের পাশে খালে পড়ে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের ৭ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা সবাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাশারি বাড়ির বাসিন্দা। একসঙ্গে সাতজনের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের মাতম।
প্রবাসফেরত বাহার উদ্দিন ও তার বাবা আব্দুর রহিম জানান, চালক রাসেল বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বিশ্রাম না নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কুমিল্লায় একবার দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ার পরও তিনি সতর্ক হননি। লক্ষ্মীপুরে বাড়ি ফেরার মাত্র ১০ কিলোমিটার আগেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি সড়কের পাশে একটি খালে ফেলে দেন।
প্রথমে গাড়িটি ধীরে ধীরে পানিতে ডুবে যেতে থাকে। এই সময় যাত্রীরা চালককে লক খুলতে বললেও তিনি তা না করে নিজে জানালা দিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যান। কাউকে রক্ষা করার চেষ্টাও করেননি।
গাড়ি থেকে বাহার উদ্দিন, তার বাবা আব্দুর রহিম, শ্বশুর ইস্কান্দার মীর্জা, ভাবি সুইটি ও শ্যালক রিয়াজ কোনোভাবে বের হয়ে আসতে পারলেও প্রাণ হারান বাহারের স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানী ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯), লামিয়া আক্তার (৮) ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া জানান, “ঘুমন্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে চালক রাসেল নিয়ন্ত্রণ হারান। এতে গাড়িটি খালে পড়ে যায়। সাতজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। মরদেহগুলো উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/ল.প্র/এ.জে