ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেদিলা গ্রামে একটি মৎস্য খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে মৃত মুরগির নাড়িভুঁড়ি ব্যবহারের অভিযোগে এক খামার মালিককে অর্থদণ্ড এবং অপরাধের সহযোগী হিসেবে খামারের ম্যানেজারকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ভালুকা ইউনিয়নের মেদিলা গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে মাছের খাদ্যে নিষিদ্ধ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ উপাদান ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযানে দেখা যায়, স্থানীয় মজিবর মল্লিকের মালিকানাধীন ফিশারিতে মাছকে খাওয়ানো হচ্ছে মৃত মুরগির নাড়িভুঁড়ি—যা আইনত দণ্ডনীয় এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভালুকা মো. ইকবাল হোসাইন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২০-এর ৩১(২) ধারা অনুযায়ী মজিবর মল্লিককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং খামারের ম্যানেজার শাহজাহান সরকার (৪০) কে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার কৃষিবিদ মো. সাইদুর রহমান। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মাছের খাদ্যে পচা বা মৃত প্রাণির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বিশেষ করে মুরগির নাড়িভুঁড়ি ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে মাছের দেহে টক্সিন ও রোগজীবাণু সৃষ্টি হয়, যা খাওয়ার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে ক্যানসার, লিভার জটিলতা, হরমোনজনিত সমস্যা ও বিষক্রিয়ার আশঙ্কা বাড়ায়।
তারা জানান, এ ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণেরও সচেতন হতে হবে। কোথাও এ ধরনের কার্যকলাপ দেখতে পেলে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন কিংবা মৎস্য দপ্তরে জানাতে আহ্বান জানান তারা।
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে