বাংলাদেশের লোকসংগীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি চার সন্তান ও অসংখ্য ভক্ত–অনুরাগী রেখে গেছেন।
তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে লিখেছেন, “আম্মা আজ রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।”
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। সপ্তাহে দুইবার ডায়ালিসিস করতে হতো। গত ২ সেপ্টেম্বর নিয়মিত ডায়ালিসিসের জন্য তাকে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ভর্তি করা হয় এবং আইসিইউতে রাখা হয়। গত বুধবার পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে গেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
‘লালনকন্যা’ খ্যাত ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের লোকসংগীত, বিশেষ করে লালনগীতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছেন। তার কণ্ঠে লালনের গান পেয়েছে নতুন প্রাণ ও আবেগময় প্রকাশ। তিনি দেশ-বিদেশে অগণিত শ্রোতাকে লোকসংগীতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, তিনি শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না, বরং লোকসংগীতের ইতিহাসে এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তার প্রস্থান বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
একুশে সংবাদ/এ.জে