কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) সাজ্জাদুর রহমান (৮০) বার্ধক্যজনিত কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত সোয়া ৮টায় সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি তিন পুত্র, তিন কন্যা, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় শমশেরনগরের শিংরাউলী ইলেভেন স্টার মাঠে জানাজা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও কমলগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুল কবিরের উপস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে বেলা ২টা ৩০ মিনিটে শিংরাউলী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদুর রহমানের মৃত্যুতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ন, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অলি আহমদ খান, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, কুলাউড়ার সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. নওয়াব আলী আব্বাস খান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মহসিন আহমদ মধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
জানাজার পূর্বে বক্তারা বলেন, “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ধলই সীমান্তে শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের সঙ্গে রণাঙ্গনে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, রাজনীতি, সমাজসেবা, সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও ক্রীড়াক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ। তাঁর মৃত্যুতে কমলগঞ্জবাসী এক অকৃত্রিম নেতৃত্বশীল মানুষকে হারাল।”
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে