চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে সালমান (২৪) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৪ জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সালমান ওই গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
নিহতের মা সালেহা বেগম জানান, সালমান দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন এবং মাঝে-মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। সংসার জীবনে তার আট ও তিন বছরের দুটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী ও সন্তানরা তিন মাস ধরে একই উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে স্ত্রীর বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
সালেহা বেগম আরও জানান, সোমবার গভীর রাতে সালমান বাইরে থেকে ঘরে ফিরে দরজা বন্ধ করে দেয়। তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কিছুক্ষণ পর জানালার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে তিনি দেখতে পান, সালমান গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তখন তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেন।
সালমানের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন বলেন, “আমাদের বিয়ে হয়েছে ৯ বছর। সালমান মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। সে প্রায়ই আমাকে মারধর করত ও সংসারের কোনো খরচ দিত না। তাই বাধ্য হয়ে আমি সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসি।”
এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে