রাজশাহীর তানোরে এক জামায়াত নেতা ছেলের বিরুদ্ধে মাকে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা লুটপাটের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মা শিলা বেগম (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মাসের ২ আগস্ট, শনিবার, তানোর পৌর এলাকার বেলপুকুরিয়া গ্রামে। ছেলের হাতে মাকে মারধরের মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকায় বইছে তীব্র সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলপুকুরিয়া গ্রামের দেলোয়ার প্রামাণিকের ছেলে নাহিদ আখতার (৩২) এবং তার স্ত্রী আলেয়া খাতুন (২৪) সহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মিলে শিলা বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তার মুখের নিচের সবগুলো দাঁত ভেঙে যায়। জানা গেছে, নাহিদ আখতার তানোর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি। ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন ধরে মা শিলা বেগমের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
শিলা বেগম অভিযোগে জানান, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে ছেলে ও ছেলের বউ তার ঘর থেকে ৩৫ মন ধান, গলার হার, হাতের ব্যাচলাইট, কানের ৩ জোড়া দুল, ২টি আংটি, ১টি স্বর্ণের চেইন এবং ২ জোড়া রুপার নুপুর চুরি করেন। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। চুরির প্রতিবাদ করায় মা শিলা বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। চিকিৎসক বর্তমানে তার দাঁতগুলো বেঁধে দিয়েছেন।
শিলা বেগম আরও জানান, তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। পূর্বেও তানোর ইসলাহিয়া মাদ্রাসার সুপার মকছেদ আলীর মাধ্যমে একটি মারধরের ঘটনা সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হয়েছিল। তারপরও নির্যাতন থামেনি। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা নাহিদ আখতারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে