কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের অর্থ উত্তোলনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিরন মো. ইলিয়াসের বিরুদ্ধে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যানের নিজ গ্রাম বালিয়ামারী মণ্ডলপাড়ার একটি মাদ্রাসা ও মসজিদ সংস্কারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান নিজেই। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কাজ না করেই তিনি প্রথম কিস্তিতে ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক বা মসজিদ কমিটির সভাপতির পরিবর্তে তিনি নিজের অন্য একটি প্রকল্পের সভাপতিকে নিযুক্ত করেন। কাজ না করেও অনুসারীদের সাক্ষী বানিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাগজপত্র প্রস্তুত করা হয় বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ১ জুলাই সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংস্কার কাজের কোনো অস্তিত্ব পাননি। স্থানীয় বাসিন্দারাও অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রকল্পের নামমাত্র সভাপতি আতাউর রহমান মন্তব্য এড়িয়ে যান। তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, চেয়ারম্যানের নামে আরও অন্তত ১০টি প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা উত্তোলন করা হলেও কাজ শুরু হয়নি।
চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। জুন ক্লোজিংয়ের কারণে কিছু টাকা উত্তোলন করা হলেও প্রকল্পের কাজ চলছে এবং কোথাও অনিয়ম হয়নি।”
রাজীবপুর ইউএনও ফজলে এলাহী বলেন, “প্রত্যেকটি প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনের পরই বিল দেওয়া হবে। কেউ কাজ না করে টাকা তুললে তাকে অবশ্যই কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে, অন্যথায় চূড়ান্ত বিল পাবেন না।”
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে