ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে গড়ে উঠা একাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য দেওয়া ৭ দিনের নোটিশের পর পেরিয়ে গেছে ৪৫ দিন। তবু অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং সংশ্লিষ্ট জমিতে এখনো কাজ চলছে। এতে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জীবননগর-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কোটচাঁদপুর অংশে সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট, আম বাজার, হোটেল, স মিল, রাইস মিলসহ একাধিক স্থাপনা। এসব অবৈধ স্থাপনার বিনিময়ে প্রতি মাসে আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের ভাড়া। অগ্রিম নেওয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকাও।
বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গত ১৪ মে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবির, কার্যসহকারী মাসুদ রানা এবং সার্ভেয়ার সোহেল রানা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর থানার পিএসআই হাসান এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
পরিদর্শন শেষে অবৈধ স্থাপনাগুলোর মালিকদের সাত দিনের মধ্যে নিজ খরচে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় নোটিশে।
কিন্তু ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলেও স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকেই বলছেন, ‘নোটিশ দেওয়ার পরদিন থেকেই দখলদাররা বলে বেড়াচ্ছেন, সব ম্যানেজ হয়ে গেছে, কিছু হবে না।’ তাদের আচরণে মনে হচ্ছে প্রশাসনের নির্দেশনা উপহাসে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে আবারও কথা হয় নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি। কোটচাঁদপুরেও অভিযান পরিচালিত হবে।”
এদিকে, প্রথমে নোটিশ দিয়ে সাহসী উদ্যোগ নেওয়ায় সাধুবাদ জানালেও, এখন দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের দাবি, অবিলম্বে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সওজের জমি দখলমুক্ত করা হোক।
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে