প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার ঘরমুখো মানুষ ছুটে চলেছেন নিজ গন্তব্যে।
ঈদের ছুটির শুরুতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ঘরমুখো মানুষের গণপরিবহনের বাড়তি চাপ দেখা দিয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনাল ছেড়ে আসা দক্ষিণবঙ্গগামী গণপরিবহনগুলো একসাথে টোলপ্লাজায় চলে আসলে গণপরিবহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপও বেড়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মোটরসাইকেলের অতিরিক্ত চাপ ঠেকাতে তাৎক্ষণিক ৩টি বুথ দিয়ে মোটসাইকেলের টোল আদায় করে। তবে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই মোটরসাইকেলের চাপ অনেকটা কমে যায় বলে সেতু কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টরা জানান।
এ সময় মাওয়া টোলপ্লাজা থেকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা দিলেও সেগুলো কিছুটা ধীরগতিতে টোলপ্লাজা অতিক্রম করছে। তবে সেতুর দুই প্রান্তে ৮টি করে টোলবুথসহ উভয় প্রান্তে মোট ১৬টি বুথ সার্বক্ষণিক সচল ছিল। এর পরও সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শ্রীনগর উপজেলার পুরাতন ফেরী ঘাট থেকে পদ্মা সেতু টোল প্লাজা (মাওয়া) পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল। ধীর গতিতে যানবাহনগুলো টোল প্লাজার দিকে এগুচ্ছে।
এদিকে পদ্মা সেতুতে ৪ জুন ২৪ ঘণ্টায় মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ২৪ হাজার ৯টি ও জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ১৩ হাজার ৪৫৬টিসহ উভয় প্রান্ত দিয়ে মোট ৩৭ হাজার ৪৬৫টি যানবাহন পারাপার করা হয়। এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯ লাখ ৬ হাজার ১৫০ টাকা।
এটি ঈদপূর্ব গত ৭ দিনের মধ্যে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বলে বৃহস্পতিবার সকালে জানান সেতু কর্তৃপক্ষের পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ নিলয়।
এবারের ঈদযাত্রায় এ নিয়ে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা দিয়ে গত ৭ দিনে রাজধানী থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণবঙ্গ ও ঢাকাগামী প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৩২টি বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন পারপার হয়েছে। এর আগে ৩ জুন মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় মোট যানবাহন পারাপার হয়েছে ২৫ হাজার ২৭৪টি। এ দিন মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত মিলে মোট টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৩৪ হাজার ৫০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষের পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ নিলয় সকাল সাড়ে ৯টায় জানান, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্লাজা হয়ে যানবাহন চলাচল অনেক বেড়ে গেছে। অন্যান্য দিনের থেকে বৃহস্পতিবার সকালে চাপ বেশি থাকায় এ সময় প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লাইন থাকলেও সেগুলো ধীরে ধীরে টোলপ্লাজা অতিক্রম করছিল।
একুশে সংবাদ/মু.প্র/এ.জে