মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে আওয়ামী লীগকে “নিষিদ্ধ ঘোষণার” দাবিতে এবং তিন দফা দাবিতে ‘ছাত্র জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ ও ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তবে কর্মসূচি চলাকালে কোন ধরনের সহিংসতা কিংবা যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি।
শনিবার (১০ মে) সকালে পদ্মা সেতু উত্তরের থানা সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভে অংশ নেন সরকারি লৌহজং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও শ্রীনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রনেতা শিহান, সোলাইমান, ইমন মাহমুদ, আরাফাত প্রিতম ও অবন্তিকা দাস।
তিন দফা দাবি ছিল:
১. আওয়ামী লীগকে ‘গণহত্যাকারী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা
২. সংঘটিত খুন ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করা
৩. “জুলাই সনদ” বাস্তবায়নে সরকারের রোডম্যাপ প্রকাশ
বক্তারা অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়েছে।” তারা হুঁশিয়ারি দেন, সরকার দাবিগুলো না মানলে পুরো পদ্মা সেতু অচল করে দেওয়া হবে। এ সময় বক্তারা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের গোপন বিদেশযাত্রা এবং আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের দায়িত্বে বহাল থাকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বক্তারা বলেন, “সংকটময় সময়ে সরকার পুরনো চরিত্রদের দিয়ে নতুন চক্রান্তে লিপ্ত। ড. আসিফ নজরুলকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।”
অবরোধ চলাকালে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কর্মসূচি শেষ হয়।
বক্তারা আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দাবি না মানলে এবার হবে দুর্বার গণআন্দোলন।”
একুশে সংবাদ/মু.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :