নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরসভার সাউদপাড়ায় বাসা দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে টেংগুরি পশ্চিম পাড়ার মো. সিরাজ মিয়ার বর্তমানে বসবাসরত বাসায় দখল নিতে আসে রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা মুফতি ফাহিম বিল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বাসাটি সিরাজ মিয়া প্রথমে ভাড়া নেয়। পরে তিনি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে জায়গাটি দখলে নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছিলেন বলে দাবি করেছে প্রতিপক্ষ। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও বিভিন্ন সময় সালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা হয়। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের নেতৃত্বে সিরাজ মিয়াকে ৩ দিনের মধ্যে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা না মানায় শনিবার সরাসরি দখলে আসে ফাহিম বিল্লাহর পক্ষ।
এ সময় সংঘর্ষে রনি, জনি, আবুল কাশেম, আলম, সুজনসহ দুই পক্ষের অন্তত ৭–৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আলম নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
দখল অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া মুফতি ফাহিম বিল্লাহ বলেন, “এই জায়গা আমার মা হোসনা ইয়াসমিনের নামে। সিরাজ মিয়ার কাছে ভাড়া দেওয়া হলেও পরে তিনি ভুয়া দলিল তৈরি করে দখল করে নেন। এতে সাবেক মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে সহযোগিতা করেছেন। ২৩ এপ্রিল দেওয়া ৩ দিনের সময় পার হয়ে যাওয়ায় আজ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আমরা জায়গা বুঝে নিতে এসেছি।”
অন্যদিকে সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. রনি বলেন, “আমরা কোনো দখলদার নই। আমাদের কাছে বৈধ দলিলপত্র রয়েছে। তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়ভাবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
একুশে সংবাদ/নে.প্র/এ.জে