AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণ ট্র্যাজিডিতে আহত পিতা, চিকিৎসার সহযোগিতা চাইলেন ছেলে


Ekushey Sangbad
সুব্রত কুমার, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ
০১:৪৫ পিএম, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫

কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণ ট্র্যাজিডিতে আহত পিতা, চিকিৎসার সহযোগিতা চাইলেন ছেলে

কোটচাঁদপুরে কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণ ট্র্যাজিডি থেকে বেঁচে যাওয়া আলমগীর হোসেন (৪৫)। গভীর  ক্ষত নিয়ে যশোর কুইন্স হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। সকলের সহযোগীতায় চলছে চিকিৎসা। তবে পুরোপুরি সুস্থ্য হতে প্রয়োজন আরো দুটি অপারেশন। যার ব্যয় মেটানো তাদের পক্ষে কোন রকম সম্ভব না। এ কারনে পিতার সুস্থ্যতায় সহযোগিতা চাইলেন ছেলে পারভেজ হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গেল ১৪ জানুয়ারি বিকেল ৫.৩০ মিনিটের সময় কোটচাঁদপুরের মোবাশ্বের মিয়ার তালমিলের পাশে কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরিত হয়। ওই ঘটনায় মারা যান রাম মল্লিক (৫০) ও মিল্টন বিশ্বাস (২৫)। আর গুরুতর  আহত হন আলমগীর হোসেন (৩৫)। ওই সময় স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। যশোর হাসপাতালের চিকিৎসায় কোন উন্নতি না হলে ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।

ওইদিনই আলমগীরকে ঢাকায় নিয়ে যান তাঁর স্বজনরা। ওখানে চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে চিকিৎসা পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠান। এরপর আবারও অসুস্থ্য হলে তাকে নিয়ে গিয়ে যশোর কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি কুইন্স হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৩১৪ নাম্বার কক্ষে শরীরের ক্ষত নিয়ে বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন।

ছেলে পারভেজ হোসেন বলেন, ওই দূর্ঘটনার পর থেকে দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখনো দুইটি অপারেশন করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। যা আমাদের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব না। 

তিনি বলেন, আমি, আমার পিতা, আর মা। তিন জনের সংসার ছিল আমাদের। পিতা ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ। তারপরও আমরা ভালই ছিলাম। গেল ৪ বছর হল মা স্ট্রোক জনিত কারনে পঙ্গুত্ব বরন করে অক্ষম হয়ে পড়ে আছেন বাড়িতে। এরপর পিতার উপর ঘটলো  ওই ঘটনা। এখন আমাদের নিরুপায়। 

তিনি আরো বলেন, ৪ ভাইয়ের মধ্যে আমার পিতা সবার ছোট। আমাদের নিজস্ব কোন জায়গা জমিও নাই। যে বিক্রি করে চিকিৎসা ব্যয় চালাব। এখন আপনাই আমাদের একমাত্র ভরসা। এপর্যন্ত আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসা চলছে। বাকি চিকিৎসা করাতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আলমগীর হোসেন মহেশপুরের আলমপুর ব্রীজঘাট এলাকার বাসিন্দা। সে মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। 

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন মনিরা বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নাই। এখন জানলাম। ওনাদেরকে আমার দপ্তরে একটা আবেদন করতে বলেন। আমি আবেদনটি পাঠিয়ে দিবো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এরপর উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষ যা ব্যবস্থা নিবার নিবেন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!