AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফরিদপুরে মুকুল শেষে গাছে গাছে আমের গুটি


ফরিদপুরে মুকুল শেষে গাছে গাছে আমের গুটি

ফরিদপুরে গাছে গাছে দুলছে আমের মুকুল। কিছু গাছে এরই মাঝে আসতে শুরু করেছে গুটি।আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর আমের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা আম চাষিদের।

আমের জন্য এ জেলা তেমন বিখ্যাত না হলেও স্থানীয় জাতের ’নাক ফজলী, আম্রপালি, গোপালভোগ আম বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

দেখা গেছে, জেলার  বিভিন্ন গ্রামে আমের বাগানই বেশি।  প্রতিটি গাছেই দেখা মিলেছে আমের কড়ালি বা গুটি। এ জেলায় প্রতিবছরই আমের  আবাদ হয়। মিষ্টি, স্বাদ, গুণ ও আকারে ফরিদপুর  জেলার মধ্যে বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালি, সালথা, নগরকান্দাসহ বেশ কিছু  উপজেলার আম। গাছের ডালে ডালে গুটি ধরেছে। আর সেই গুটিতেই স্বপ্ন বাঁধতে শুরু করেছেন চাষিরা। চলছে সাধ্য অনুযায়ী পরিচর্যা। চৈত্র-বৈশাখেই ফলবতী হয়ে উঠবে গাছ। জৈষ্ঠেই পরিপূর্ণ আমের দেখা মিলবে বাজারে। কৃষককূলে এখন চলছে তারই প্রস্তুতি।

জেলার বিভিন্ন এলাকায়  ঘুরে দেখা গেছে, এরই মধ্যে কুয়াশা, ঝড়- আর শিলাবৃষ্টির কোন ধকল এখন পর্যন্ত নেই। এখন দানা বেঁধেছে আমের গুটি। স্বর্ণালী মুকুল ঝরিয়ে শাখা-প্রশাখায় দোল খেতে শুরু করেছে সেই গুটি। গুটিবাঁধা সেই সবুজ দানাতেই এখন স্বপ্ন দেখছেন ফরিদপুরের আমবাগানীরা।

এই মৌসুমের এই বিশেষ সময়ে গাছে যত্ন আরো বেড়ে যাচ্ছে। আমগাছে কীটনাশক স্প্রে, গোড়ায় পানি দেয়াসহ দেখভালের কাজ এখন চলছে পুরোদমে।

অন্য বছরের তুলনায় এবার ফরিদপুরের প্রায় গাছেই পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে। এগুলোর বেশিরভাগেই গুটি বেঁধেছে আম। আর আগে থেকেই ছত্রাকনাশক কীটনাশক স্প্রে করেছে আম বাগানীরা। আর হপার পোকার আক্রমণ দুর করতেও স্প্রে করা হচ্ছে।

সবুজ নামে এক আম চাষি বলেন, ‘আমের মৌসুমে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে। এটা অব্যাহত থাকলে এবারো আমের বাম্পার ফলন ও উৎপাদনে লাভের মুখ দেখা যেতে পারে।

ফরিদপুর জনতা ব্যাংকের সামতে থেকে কথা হয় আমচাষী মুকুল মিয়ার সাথে, তিনি বলেন, ‘অনেকে জেলার বাইরে থেকে এসে অন্যদের আম গাছ লিজ নিয়ে থাকেন। সেটা ছাড়াও পোকা-মাকড় মুক্ত রাখতে ওষুধ, স্প্রে থেকে শুরু করে আম গাছের পরিচর্যা ও ফলনের পর সেটা বাজারজাতকরণ পর্যন্ত অনেক পরিশ্রম ও খরচ হয়। ভালো ফলন ও শেষ পর্যন্ত উৎপাদন ঠিকঠাক থাকলে লাভবান হন আমচাষিরা।’

জেলা কৃষি অফিস জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হবে। এখনো কোন প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা যায়নি। চাষিরা প্রথম অবস্থায় কীটনাশক প্রয়োগ করেছে এখন গুটির জন্য আরেকবার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিটি গাছের মুকুলে একটি করে গুটি থাকলেই বাম্পার ফলন হবে বলে জানায় কৃষি অফিস। 

একুশে সংবাদ/এস কে

Link copied!