আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে এই প্রথম ব্যালটের মাধ্যমে গভর্নমেন্ট আইসিটি কর্মকর্তাদের সংগঠন `গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংগঠন।
শনিবার (১৩ জুলাই) শেরে বাংলা নগর আদর্শ মহিলা কলেজ ভবনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে ১৭টি পদের জন্য মোট ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একটি প্যানেলে ১৬ জন প্রার্থী এবং অপর প্যানেলে ১৩ জন প্রার্থী ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সংগঠনের আটশোর অধিক সদস্য থাকলেও, ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৪৩২ জন সদস্য।
নির্বাচনে তমিজ-সুমন প্যানেলে সভাপতি পদে মোঃ তমিজ উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব মোঃ আহসান হাবীব সুমন, সহ-সভাপতি মোঃ শাহীন মিয়া, মিহির কান্তি সরকার ও মোঃ আবু রায়হান, কোষাধক্ষ্য জিকরা আমিন (বিপিএএ), যুগ্ন সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান ও মোঃ জাকির হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আজিমুল ইসলাম, প্রকৌশলী কাজী শাহাদাত হোসেন, সলিল চাকমা, সজীব চৌধুরী, মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ শামসুদ্দিন আহমেদ, মোঃ রাফিদ শাহরিয়ার ও মোঃ শরিফুল ইসলাম তারেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে ওয়াহিদ-দিদার প্যানেলে সভাপতি পদে মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান খাঁন, মহাসচিব মোঃ দিদারুল কাদির, সহ-সভাপতি মোঃ সাব্বির বিশ্বাস, মোঃ নূর হোসেন ও প্রশান্ত কুমার কবিরাজ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব মোঃ তুহিনুল ইসলাম ও মোঃ মইনুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে কামরুজ্জামান, মোঃ এবাদুল হক রুবেল, শাহ মুহাম্মদ রুবায়েদ আলম, মোঃ আতিকুর রহমান তালুকদার ও শাকিল আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সহ-সভাপতি পদে মিহির কান্তি সরকার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে পূর্ণ প্যানেল গঠন করবেন বলে জানান তিনি।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সভাপতি প্রার্থী মোঃ তমিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন জয়ী হলে, আইসিটি জনবলের সমন্বয়ে একক প্রশাসনিক কাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে আইসিটি ক্যাডার/ সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ; নিয়োগবিধি ও পদনাম পরিবর্তন এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় বদলি বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন করব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফোরামের সদস্যগণের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স কমিটির সকল সদস্যের নিকট আইসিটি জনবলের উন্নয়নের জন্য যৌক্তিক দাবি-দাওয়াসমূহ উপস্থাপনের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করব। ফোরামের জন্য একটি নিজস্ব কার্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ এবং সমজাতীয় সংগঠনের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক স্থাপন কাজ করব ও ফোরামের কার্যক্রম ও সদস্যগণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সংক্রান্ত নিউজলেটার প্রকাশ এবং সদস্যগণের জন্য কল্যাণ তহবিল বাস্তবায়নই আমার নির্বাচনী ইশতেহার।
এছাড়াও একাধিক প্রার্থী বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি নির্বাচন নয় বরং সরকারি কর্মকর্তাদের মিলনমেলা। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচন গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ভোটাররা একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন যাতে সংগঠনকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়। নির্বাচনের পরে সকল প্রার্থীই সংগঠনের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রার্থীরা।
একাধিক ভোটার বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল প্রার্থী আমাদের খুব আপনজন। সবাইকে তো জয়ী করতে পারবোনা তবে যেই জয়ী হবে সে সকলকে নিয়ে এই গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের সকল সদস্যদের উন্নয়নে কাজ করবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। সদস্যদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই আমাদের কাম্য।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সকাল থেকে খুব সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। যেহেতু এখানে সবাই সরকারি কর্মকর্তা, তাই বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রার্থী বা ভোটারদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় নি। সকলেই সকলের প্রতি আন্তরিক।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু/এনএস