সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদের অসম বয়সী বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সম্প্রতি বইমেলায় গিয়েও হেনস্তার শিকার হন তারা। এর পরই এ দম্পতিকে নিয়ে মুখ খোলেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। তার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে মুশতাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সামনে এনেছেন তিনি। একইসঙ্গে মেয়ে তিশাকে বাড়ি ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছেন বাবা সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘একদিন আমার স্ত্রী তিশাকে বলছিল, মুশতাকের কাছ থেকে না এলে তোমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে যাবে? জবাবে তিশা বলে, আম্মু আমার অনেক অশ্লীল ছবি ওর (মুশতাক) কাছে আছে। ছবিগুলো দিলে লাথি দিয়ে চলে আসতাম।’
সম্প্রতি তিশাকে উদ্দেশ্য করে বাবা সাইফুল ইসলাম ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি মুশতাকের ছায়াও দেখতে চাই না। মুশতাকের নামটা শুনলে আমার অজুটাও নষ্ট হয়ে যায়। আম্মু তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, কোনো কারণে যদি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়, সেটা আবার লাইনে তুলে সামনে এগোনো যায়। তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, মুশতাকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা মেয়ে কতটা জিম্মি হলে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। তিশাকে খুব রেস্ট্রিকশনে রাখে, তাকে মোবাইলেও কথা বলতে দেয় না। কথা বলতে দিলে মুশতাক পাশে বসে থাকে।’
সাইফুল ইসলাম বলেন, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিশা এবং খন্দকার মুশতাক ওই কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন।
১৮ বছরের তিশা বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের খন্দকার মুশতাককে। এখনও এ বিয়ে মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তা-ই নয়, এ বিয়েকাণ্ড আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, যা এখনও বিচারাধীন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

