২০২৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের পর আবার ভারতের বিপক্ষে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। ১১ মিনিটে শেষ মোরছালিনের করা গোলটিকে ধরে রেখে ১–০ গোলেই এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচটি জিতল বাংলাদেশ।
২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ জিতল পাঁচ ম্যাচ পর। আজকের আগে সর্বশেষ গত জুনে প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ২–০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
শেষ মুহূর্তের গোলে বারবারই আশাভঙ্গের বেদনা সওয়া বাংলাদেশ দাঁতে দাঁত চেপে শেষ কয়েকটা মিনিট পার করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের আক্রমনের ঢেউয়ে টালমাটাল হলেও দৃঢ়তার সঙ্গে সে সব সামাল দিয়েছে বাংলাদেশ।
চোট থেকে সুস্থ হয়ে ফেরা মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিনই হলেন জয়ের নায়ক। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১১ মিনিটে করা তার গোলই হলো নির্ণায়ক। ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর আর কোনো স্বীকৃত ম্যাচে ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে যেতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছিল বাংলাদেশকে। অন্যদিকে সফরকারী ভারত একাধিকবার ডি-বক্সে ঢুকলেও গোলের দেখা পায়নি।
একাদশে ফিরেই মোরসালিন দেখিয়েছেন বড় চমক। বাম প্রান্ত থেকে রাকিবের আড়াআড়ি ক্রসে পা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করে বাংলাদেশ সমর্থকদের আনন্দে ভাসান এই মিডফিল্ডার।
২০ মিনিটে গোলকিপার মিতুল মারমার ভুলে প্রায় গোল হজম করে বসেছিল বাংলাদেশ। তবে দলকে সে যাত্রায় রক্ষা করেছেন হামজা চৌধুরী। ভারতীয় খেলোয়াড়ের ক্রস হেড করে ক্লিয়ার করেছেন।

ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে মাঠে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের ধাক্কাধাক্কি থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুই দলের খেলোয়াড়রাই প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত রেফারি তপু ও বিক্রম—দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখান।
প্রথমার্ধের বাকি সময় একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা দারুণ করেছিল ভারত, দুইবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। তবে আক্রমণের ধার মজবুত রেখেই খেলা চালিয়ে যেতে থাকে সফরকারীরা।
৭৮ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তপু বর্মণ, তবে শটের গতি দুর্বল হওয়ায় তা ফিরিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক।
৮৩ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর ভারতের এক ডিফেন্ডারের হাতের পেছনের দিকে লেগেছিল বল। পেনাল্টির দাবি করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা, তবে সেই আবেদনে কান দেননি রেফারি।
গ্যালারিতে দলকে সমর্থন জানাতে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
একুশে সংবাদ/এসআর



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

