AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

র‍্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃতদের পক্ষে মানববন্ধন করতে এসে সাংবাদিকদের হুমকি


Ekushey Sangbad
ওবায়দুল্লাহ,কুবি প্রতিনিধি
০৭:৪৫ পিএম, ২০ জুলাই, ২০২৫

র‍্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃতদের পক্ষে মানববন্ধন করতে এসে সাংবাদিকদের হুমকি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) র‍্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃত ১২ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করতে এসে সাংবাদিকদের গালাগালি এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

রবিবার (২০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে র‍্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পক্ষে মানববন্ধন করার সময় এই ঘটনা ঘটে। 

এসময় গণিত বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নাদিম রাহুল উপস্থিত সাংবাদিকদের ‍‍`তুই-তোকারি‍‍` করে এবং ম্যানারলেস‍‍` বলে গালিগালাজ করেন। পাশাপাশি, একই বর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউনুস আলী সাংবাদিকদের মারতে আসেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের জন্য একত্রিত হচ্ছিলো। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলো। একপর্যায়ে মানববন্ধনকারী একজন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলে উঠেন ‍‍`তোরা লাইনে দাঁড়াস না কেন?‍‍` পরে সাংবাদিক পরিচয় দেবার পরে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি ও মারতে তেড়ে আসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমসিজে নিউজের রিপোর্টার ভুক্তভোগী নিলয় সরকার বলেন, ‍‍`গোলচত্ত্বরে আমরা সাংবাদিকরা নিউজ কাভারের উদ্দেশ্যে দাঁড়িছিলাম। তখন ১৮ তম আবর্তনের গণিত বিভাগের একজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলে তোরা লাইনে দাঁড়াস না কেন? তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনি কাদের বলছেন? তিনি বললেন তোদেরকে বলছি। আমরা সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন বলছি তো কি হইছে? তারপর উনার কাছে সব সাংবাদিক এমন আচরণের কারণ কি জানতে চাইলে ১৮ তম আবর্তনের বাংলা বিভাগের ঈউনুস সাংবাদিকদের এক পর্যায়ে বলেন ‍‍`বালপাকনামি করতে আসছে? তুই কে? বলে আক্রমণাত্বকভাবে মারতে আসে। যা সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।‍‍`

দায়িত্বরত আরেক ভুক্তভোগী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক আকাশ আল মামুন বলেন, ‍‍`ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা শহীদ আব্দুল কাইয়ুম চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলো তখন ১৮তম আবর্তনের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিম সাংবাদিকদের বলেছেন ‍‍`তোরা এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?‍‍` এবং কন্টিনিউয়াসলি তুই-তুকারি করতেছিলেন। তখন সাংবাদিকেরা তার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে আরও কয়েকজন এসে সাংবাদিকদের বাধা দেয়। নাদিম তখনো এমন আচরণ করতেছিলো যে তিনি সাংবাদিকদের মারবে। এমন সময় একই সেশনের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইউনুস এসে এমসিজে নিউজের ক্যাম্পাস সাংবাদিক নিলয়কে বলেন ‍‍`বাল পাকনা‍‍` এবং মারার জন্য তেড়ে আসতেছিলো। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।‍‍`

দ্যা ঢাকা ডায়েরির ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নুুরুল হাকিম বাপ্পি বলেন, ‍‍`আমি দায়িত্ব পালনের জন্য গোলচত্ত্বরে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন সাংবাদিক ভাইয়ের সাথে আন্দোলনকারীদের বাকবিতণ্ডা দেখা গেলে আমি তাদের কাছে কি হয়ছে জানতে চাই। এমন সময় তারা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। তখন আমার মনে হয়ছে তারা ওখানে ঝামেলা করতে আসছে। আমরা তাদের সিনিয়র এবং দায়িত্বরত সাংবাদিক হিসেবে তারা যে এপ্রোচে কথা বলতেছিল মনে হয়ছে তারা আমাদের উপর হামলা করবে। শুরুতেই নাদিম নামের ছেলেটা তুইতোকারি করতেছিল এবং ইউনুস আলী সাংবাদিকদের ‍‍`বাল পাকনা‍‍` বলে গালি দিয়ে মারতে আসে। দায়িত্বরত সাংবাদিকের উপর এমন হুমকির নিন্দা জানাচ্ছি এবং আশা করি প্রশাসন এর যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।‍‍`

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, ‍‍`আমি মানববন্ধনে গিয়েছিলাম যাতে আমার সহপাঠীদের বহিষ্কারের শাস্তি মওকুফ করা যায়। সেখানে নাদিমের সাথে সাংবাদিক ভাইদের ঝামেলা দেখে আমি থামাতে যাই এবং আমার বন্ধুদের গালি দিয়ে সরিয়ে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু সাংবাদিক ভাই মনে করেছেন তাকে গালি দিয়েছি। বিষয়টা পুরোটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং।‍‍`

অভিযুক্ত আরেক শিক্ষার্থী নাদিম রাহুল বলেন, ‍‍`আমার এমন আচরণ করা উচিত হয়নি। এর জন্য আমি লজ্জিত এবং ক্ষমা প্রার্থী।‍‍`

মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকিব জামান সাংবাদিকদের হামলার ব্যাপারে বলেন, ‍‍`সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণ করা ভুল হয়েছে। এর জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী।‍‍`

এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, ‍‍`আমি এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির আলোচনা করে এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিব।‍‍`

উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই মার্কেটিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ০৭ জন এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ০৫ জন শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া, বহিষ্কৃত ১২ জন আজীবন হলে অবস্থান করতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।


একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্যাম্পাস

Link copied!