AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ



মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিডফোর্ড হাসপাতাল) ৩ নম্বর ফটকের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর  মেরে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‎শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‎ছাত্র হল-১ এর প্রধান ফটকের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

‎এসময় শিক্ষার্থীরা আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে; আবার হলে শোষণ শুরু হবে একশান; যুবদলের চাঁদাবাজরা, হুঁশিয়ার সাবধান; লেগেছে লেগেছে রক্তে  আগুন লেগেছে ইত্যাদি স্লোগান দেন।‎

‎বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে ব্যবসায়  প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো: মিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এই রকম নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখেছিলাম ২০১২ সালে কিভাবে  প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বজিৎকে  ছাত্রলীগ  কুপিয়ে মেরেছিল। এখন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছে যুবদল। প্রকাশ্যে মিডফোর্ডে পাথর দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি তার শঙ্কা দেখা যাচ্ছে এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে। আবার যদি ফ্যাসিবাদ জন্মানোর চেষ্টা করে, আমরা ছাত্র সমাজ যেভাবে হাসিনাকে পতন করেছি সেইভাবে নতুন ফ্যাসিবাদকে রুখে দিবো।

‎ইংরেজি বিভাগের বিভাগের শিক্ষার্থী মজনু আলম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করছি, বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, এমনকি বিএনপির মূল সংগঠন থেকেও তাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে অন্তর্দ্বন্দ্বে ও অন্তঃকলহে লিপ্ত আছে। তারা নিজেদের দলের লোকদেরই হত্যা করছে। যারা নিজেরাই নিজেদের দলের নেতাকর্মীদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়, অথচ তারা মিথ্যা অপবাদ দেয় যে, ভিন্ন একটি সংগঠন রগ কাটার মূল নায়ক। এটা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সংগঠনের নিজেদের নেতাকর্মীদের হাতেই তাদের নিজেদের জনশক্তি নিরাপদ নয়। আমরা দেশবাসী আশঙ্কায় আছি, এই সংগঠন যদি কোনোভাবে ক্ষমতাসীন হয়, তাহলে দেশের মানুষ অবশ্যই এক নব্য ফ্যাসিস্ট শাসনের শিকার হবে।

‎আমরা আজকের এই জমায়েত থেকে ঘোষণা দিচ্ছি—আবারও যদি কোনো স্বৈরাচার ভিন্নরূপে ফিরে আসে, আমরা আবারো বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও সেই স্বৈরাচারকে রুখে দেব।"

‎ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখেছিলাম ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর কিভাবে লগি বৈঠার মাধ্যমে মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছিল। কেউ যেনো নব্য ফ্যসিবাদ কায়েম করতে না পারে সে বিষয়ে বাংলার ছাত্রসমাজ এখন সোচ্চার আছে। পরিশেষে বলতে চাই, সোহাগ ভাইকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের বাংলার জমিনে দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্যাম্পাস

Link copied!