যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুন্নাহার রূপার রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছে উক্ত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪মে) দুপুর ১২টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে এবং দুপুর ১টায় মানববন্ধন করেন যবিপ্রবির এনএফটি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সুষ্ঠুতা নিশ্চায়নের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিকেল কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করেন।
মানববন্ধনে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শিমুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় রূপার বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই আমরা তার থেকে শুনতাম যে তার ওপর অনেক নির্যাতন করা হয়। হঠাৎ একদিন রূপা তার শিক্ষিকা আমাদেরই সহকর্মী ড. ফাতেমা-তুজ জোহরাকে বলেন, তার উপর প্রতিনিয়ত অনেক খারাপ কিছু ঘটেই চলেছে। তার যদি কখনও মৃত্যু ঘটে তাহলে সেটি অবশ্যই হত্যা। এছাড়া রূপার সাথে আমাদের অনেক শিক্ষকের কথা হতো সেখান থেকে আমরা এই ঘটনাকে বেশ সন্দেহজনক মনে করছি। তাছাড়া আমরা রূপার মৃত্যুর কথা শুনে তার গ্রামে যাই। গ্রামবাসীর ভাষ্যমতে এবং সেখান থেকে পাওয়া ছবি, ভিডিওর নিদর্শন ও বিভিন্ন তথ্যমতে এই মৃত্যুটি আত্মহত্যা বলে মনে হয় না। আমাদের ধারণা তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার সম্ভবনা রয়েছে। তাই প্রশাসনের নিকট আমাদের প্রত্যাশা তারা যেন এই মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের উপর ভিত্তি করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে আশরাফুন্নাহার রূপার মৃতদেহ রহস্যজনকভাবে যশোর বেনাপোলে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে