বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের অশালীন ফেসবুক পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে ‘রুচিহীন’, ‘নৈতিকতাহীন’ ও ‘ভারসাম্যহীন’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা।
গত ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামকে নিয়ে দেওয়া একটি কুরুচিপূর্ণ ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এ বিবৃতি দেন।
জানা যায়, কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে সেদিন পবিপ্রবির অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপাচার্য বলেন, “কম্বাইন্ড ডিগ্রি এখন সময়ের দাবি, তোমাদের দাবি যৌক্তিক।”
পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজে এ বক্তব্য একটি ফটোকার্ড আকারে প্রকাশ হলে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ সেটি শেয়ার করে পবিপ্রবির উপাচার্যকে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা বিবৃতিতে বলেন, “অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ একজন শিক্ষক হয়ে এমন ভাষা ব্যবহার করে শিক্ষকতা ও নৈতিকতার মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তার স্বার্থান্বেষী ও অশালীন মন্তব্য তাঁকে সকলের কাছে হাস্যকর অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। একজন ‘মানুষ গড়ার কারিগর’-এর মুখে এমন ভাষা কাম্য নয়।”
বিবৃতিতে অধ্যাপক আজাদকে ‘ভারসাম্যহীন’ উল্লেখ করে আরও বলা হয়, “আমরা চাই শিক্ষক সমাজ হোক যুক্তিবাদী, শালীন ও সম্মাননীয়। কিন্তু অধ্যাপক আজাদের মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত রুচির দুর্ভিক্ষকেই প্রকাশ করে। যাঁর মুখের ভাষা তাঁকে ভারসাম্যহীনদের কাতারে ফেলেছে, তাঁর কাছে ছাত্ররা কী শিখবে?”
পবিপ্রবির অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল কাফি বলেন, “একজন শিক্ষক হয়ে অধ্যাপক আবুল কালাম কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাঁর শব্দচয়ন ছিল অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অযাচিত। তাঁকে অবশ্যই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “একজন উপাচার্যকে নিয়ে এ ধরনের পোস্ট দেওয়া আমার ভুল হয়েছে। আমি তা বুঝতে পেরে পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছি। আমি আমার ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।”
একুশে সংবাদ/এ.জে