ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বাংলোর সীমানার ভেতর থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টায় রোকেয়া হল স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন ভিসির বাংলোর ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ভিসির বাংলো থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার!- এমন সংবাদের পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন- কোথা থেকে এলো নবজাতকের মরদেহ? কীভাবেই বা এলো?
পরবর্তীতে ভিসির বাংলোর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক বাংলোর আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। নীল রঙয়ের জিন্স ও হালকা সাদা রঙের টি-শার্ট পরা ওই যুবকের হাতে একটি বাজারের ব্যাগ (সাদা ও হালকা লাল রঙের) দেখা যায়। যা তিনি পরবর্তীতে ভিসির বাংলোতে ফেলেন।
বাংলোর কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হকের দেয়া বর্ণনার সঙ্গে যার মিল পাওয়া যায়। নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের পর কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক বলেন, হঠাৎ দেয়ালের অপর পাশের রাস্তা থেকে টুপ করে কিছু পড়ার শব্দ পান পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তারা এগিয়ে দেখেন একটি ব্যাগ পড়ে আছে। তারা ভয় পান যে বোমা বা অন্যকিছু কিনা। পরে লাঠিজাতীয় কিছু দিয়ে একটু খুললে নবজাতকের মাথা বেরিয়ে আসে। পরে তারা আমাকে খবর দেয়।
তিনি বলেন, আমি গিয়ে দেখি বীভৎস অবস্থা, দেখার মতো না। কোনো স্বাভাবিক মানুষ এটা সহ্য করতে পারবে না। দেয়ালের অপর পাশ থেকে কেউ এটা ছুঁড়ে ফেলেছে। ক্যাম্পাস উন্মুক্ত হওয়ায় অনেকেই তো রাস্তায় চলাচল করে। পরে আমরা পুলিশকে খবর দেই। তারা এসে মরদেহ নিয়ে গেছে।
এর আগে উদ্ধারের পর শাহবাগ থানা পুলিশের সহায়তায় নবজাতকের মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, দুপুরের দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ একটি নবজাতকের মরদেহ নিয়ে আসে। মরদেহটি মর্গে রাখা আছে।
একুশে সংবাদ/এনএস