কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ১১তম কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে৷ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী পক্ষের শিক্ষকরা ভোট দিতে কেন্দ্র আসলেও নির্বাচনে যারা অংশ না নেওয়া শিক্ষকরা বাঁধা সৃষ্টি করেছে। তাদের দাবি, নির্বাচনের কেন্দ্র সম্পর্কে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশ সাইদুল আল আমিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুর্শেদ রায়হানের অংশটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী জাহিদ হাসান প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশন গঠন ও দিন তারিখ নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিলেন।
ওমর-জাহিদ গ্রুপের নেতাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন কখন ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করছে আমরা জানি না। নির্বাচন পূর্বে যেমন শিক্ষক লাউঞ্চে অনুষ্ঠিত হতো, এবারও হবে।
এদিকে লাউঞ্জে নির্বাচন না অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারদের ভাষ্য, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লাউঞ্জের ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু, প্রশাসন আমাদের অনুমতি দেয়নি। তাই এখানে নির্বাচন আয়োজন করতে হয়েছে।
নির্বাচনের কেন্দ্রের বিষয়ে ভোটার জানেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশন জানান, আমরা রাতে সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের অবগত করেছি।
উল্লেখ্য ভোট গ্রহণ সকাল ৯ থেকে ১ পর্যন্ত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হট্টগোলের কারণের একটি ভোটও নিতে পারেন নি কমিশন। একপক্ষ ভোটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেও অপরপক্ষটি দরজা অবরোধ করে রেখেছে৷
একুশে সংবাদ.কম/ইর.প্রতি/বাইজীদ_সা’দ
আপনার মতামত লিখুন :