নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত তদারকির অভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত অবাধে প্রবেশ করছে বহিরাগতরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, লালন শাহ হল সংলগ্ন ফটক ও শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন ফটক দিয়ে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন। ফটকে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা থাকলেও কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। চলমান নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোটরসাইকেল, অটো ও ভ্যান নিয়ে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন। এছাড়া ছিন্নমূল ও ভিক্ষুকদের সংখ্যা বেড়েছে এবং তারা পরীক্ষার হল ও শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধুমাত্র মাইকিং ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেই দায় সারছে। মাত্র দুইদিন আগে প্রশাসন ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বলেছে, আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ঘোষণার পরও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের দেখা যাচ্ছে।
ছাত্রদের অভিযোগ, নিরাপত্তার ঘাটতির কারণে আবাসিক হলগুলোতে চুরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রচীও অরক্ষিত, আর প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র প্রদান করছে না। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসসহ বাইরেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, “ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ লাগামহীন, কিন্তু প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। পরীক্ষার সময়ও তারা আসছে, যা আমাদের নিরাপত্তা ও পড়াশোনার জন্য হুমকি তৈরি করছে।”
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, “আমরা বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিচ্ছি। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আসছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অনেক সময় দর্শনার্থীদের বাঁধা দেওয়া যায় না।”
একুশে সংবাদ/এ.জে