মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী মোড় এলাকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী তাসনিম উর্মিকে (২৩) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এমনটি দাবি করেছে উর্মির পরিবার। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অভিযুক্ত স্বামী পিন্স ও তাঁর বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় উর্মির পরিবার বাদী হয়ে গাংনী থানায় হত্যা মামলা করেছে। নিহত উর্মি উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
উর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বেয়াই হাসেম শাহ্ মুঠোফোনে আমাকে জানান, ঊর্মি অসুস্থ হওয়ায় তাকে গাংনী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। কারণ জানতে চাইলে উর্মি জানালার সাথে ফাঁস দিয়েছে বলে জানানো হয়। সংবাদ পেয়ে দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে জানতে পারি উর্মি মারা গেছে। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশ লাশ লাশ থানা হেফাজতে নেয়। এ ঘটনার পরে অভিযুক্ত স্বামী পিন্স আত্মগোপনে যায়। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গাংনী থানা পুলিশ তাকেসহ তাঁর বাবাকে আটক করেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে নিহত উর্মির পরিবার। এদিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করেছেন উর্মির সহপাঠী ও শিক্ষকরা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘উর্মির শরীরে আঘাতের আলামত রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। অভিযুক্ত প্রিন্স ও তার বাবাকে আমরা আটক করেছি। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছে উর্মির পরিবার। তবে হত্যার বিষয়ে অস্বীকার করেছে প্রিন্স। তবে যৌতুকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা অনুমান করছি।’
একুশে সংবাদ/এসএপি/
আপনার মতামত লিখুন :