২০২৪ সালের চলতি প্যারিস অলিম্পিক গেমস থেকে কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হল এক ব্রাজিলিয়ান মহিলা সাঁতারুকে। প্যারিসে ব্রাজিলের গেমস ভিলেজ থেকে তাঁকে সোজা দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
সাঁতারু নাম অ্যানা ক্যারোলিনা ভিয়েরা। তাঁর অপরাধ তিনি কতৃপক্ষকে না জানিয়েই গেমস ভিলেজের বাইরে রাত কাটিয়েছেন।রাত কাটিয়েছেন আরেক অলিম্পিয়ান সাঁতারুর সঙ্গে।যিনি ঘটনাচক্রে তাঁর বয়ফ্রেন্ড এবং গেমসে তাঁর এক সতীর্থ। দুই ব্রাজিলিয়ান সাঁতারু অ্যানা ক্যারোলিনা ভিয়েরা এবং ২২ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েল স্যান্টোস এবারের গেমসে ব্রাজিলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁরা কাউকে কিছু না জানিয়েই ভিলেজের বাইরে রাত কাটান।
পরবর্তীতে ব্রাজিলিয়ান অলিম্পিক সংস্থা তাদেরকে বিষয়টির যখন ব্যাখ্যা দিতে বলে তখন স্যান্টোস ক্ষমা চেয়ে নিজের দোষ মেনে নেন।ফলে তাঁকে সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে গেমস ভিলেজেই রেখে দেওয়া হয়েছে আপাতত। গোল বাঁধে অ্যানা ক্যারোলিনা ভিয়েরাকে নিয়ে। তিনি তাঁর দোষ তো স্বীকার করেননি ,উল্টে তর্কাতর্কি জুড়ে দেন কর্মকর্তাদের সঙ্গে। ফলে তাঁকে নিয়ম ভাঙার দায়ে পত্রপাঠ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাজিলের অলিম্পিক সংস্থা। ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ জুলাই রাতে। এরপর ২২ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েল স্যান্টোস তাঁর দেশের হয়ে ৪*১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল রিলে সাঁতারেও অংশ নেন । স্যান্টোসরা তাদের হিট থেকেই ছিটকে যান। কিন্তু অ্যানা ক্যারোলিনা ভিয়েরা তাঁর হিটে ১২ তম স্থানে শেষ করেন।
অদ্ভুত রকমভাবে এই ঘটনা ব্রাজিলের অলিম্পিক কমিটি আগে জানতে পারেনি। তাঁরা ২৮ বছর বয়সী ভিয়েরার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে বিষয়টি জানতে পারেন। ব্রাজিলের সাঁতার দলের প্রধান গুস্তাভো ওটসুকা এরপর বিষয়টি অলিম্পিক কমিটিকে জানান। তাদের তরফে এরপর দুটি অ্যাথলিটের থেকেই জবাবদিহি চাওয়া হয়। কারণ নিয়ম ভেঙেছেন দুজনেই।তবে স্যান্টোস দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও ভিয়েরা হাঁটেন উল্টো পথে।ফলে নিয়ম ভাঙার দায়ে তাঁকে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হল।শেষ হয়ে গেল তাঁর এবারের অলিম্পিক্সের আসর। সাঁতার দলের প্রধান ওটসুকা স্পষ্ট জানিয়ে দেন আমরা এখানে দেশের করদাতাদের টাকায় ফূর্তি করতে আসিনি। তাই এই অনাচার কোনভাবেই মানা হবে না। তাই এই কঠিন সিদ্ধান্ত।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :