যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বৈরথের কারনে অলিম্পিকে নারীদের ৪শ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার ইভেন্টটি ‘রেস অব দ্য সেঞ্চুরি’ নামেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। সেই ‘রেস অব দ্য সেঞ্চুরির’ লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেটি লেডিকিকে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আরিয়ার্না টিটমাস।
প্যারিস লা ডিফেন্সে অ্যারেনার পুলে ৩ মিনিট ৫৭.৪৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন টিটমাস। রূপা জিতেছেন কানাডার সামার ম্যাকিনটোশ। তার সময় লেগেছে ৩ মিনিট ৫৮.৩৭ সেকেন্ড। টিটমাসের প্রধান প্রতিদ্বন্দি লেডিকি ৪ মিনিট ০০.৮৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে জিতেছেন ব্রোঞ্জ পদক।
সোনার পদক জিতে নতুন কীর্তিও গড়েছেন টিটমাস। ডন ফ্রেজারের পর অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় নারী সাঁতারু হিসেবে অলিম্পিক পদক ধরে রেখেছেন। এমন কীর্তির পর টিটমাস তার বলেন ‘বিশ্বাসই করতে পারছি না এটা আমি! সত্যি করে বলছি। নিজের দিকে চেয়েও স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তবে আমি সাঁতার খুব ভালোবাসি। নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতেও। তার সঙ্গে উপভোগের মন্ত্র তো থাকছেই।’
২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে নারীদের ৪শ মিটার ফ্রিস্টাইলে সোনা জিতেছিলেন লেডিকি। এরপর ২০২১ সালে জাপানের টোকিও অলিম্পিকে এই ইভেন্টে সোনা জিতেন টিটমাস। ঐ আসরে ২শ মিটার ফ্রিস্টাইলেও সোনা জিতেছিলে তিনি। এবার ফ্রান্স অলিম্পিকে সোনা জিতে রেকর্ড বইয়ে নাম তুললেন টিটমাস।
প্রথম নারী হিসেবে ১শ বছরের মধ্যে ৪শ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে টানা দুই অলিম্পিকে সোনা জয়ের রেকর্ডের মালিক টিটমাস। এছাড়া ডন ফ্রেজারের পর দ্বিতীয় নারী অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে সাঁতারের যেকোন ইভেন্টে টানা দু’বার অলিম্পিতে সোনা জয়ের নজির গড়লেন টিটমাস। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৪ সালে টানা তিন অলিম্পিকে ১শ মিটার ফ্রিস্টাইলের সোনা জিতেছিলেন ফ্রেজার।
অলিম্পিকের মঞ্চে এখন পর্যন্ত ৩টি সোনা, ১টি করে রূপা ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন ২৩ বছর বয়সী টিটমাস।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :